প্রেম পরিণতি, কুপিয়ে স্বামীকে হত্যা: ক্ষণে ক্ষণে বাঁক পরিবর্তন
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, সোনমের পিতা দেবী সিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাজ। এ সময় রাজার মরদেহ বাড়িতে নেয়া হয়। রাজার প্রভাবশালী ইনফ্লুয়েন্সার বোন শ্রষ্টি, যার প্রায় ৪ লাখ অনুসারী রয়েছে ইনস্টাগ্রামে- তিনি এই ঘটনাগুলো নিয়ে ক্রমাগত পোস্ট করে চলেছেন। তিনি ভাইয়ের বিয়ে, হত্যার পরবর্তী তদন্ত এবং সোনমের গ্রেপ্তারের ভিডিও-ছবি পোস্ট করেছেন। একটি ভিডিওর ক্যাপশনে শ্রষ্টি লিখেছেন, রাজ কুশওয়াহা রাজার বাড়িতে, সোনমের পিতার সঙ্গে দেখা গেছে।
রাজার মা উমা রঘুবংশীও জানান, সোনমের বিয়েতে রাজকে উপস্থিত দেখা গিয়েছে। যদিও তিনি সরাসরি পুত্রবধূর ওপর দোষারোপ করেননি। তবে প্রশ্ন তোলেন- সে কেন ওকে ওখানে (মেঘালয়ে) একা রেখে এল? কেন বাঁচানোর চেষ্টা করল না?
ইনস্টাগ্রামে এক আবেগঘন ভিডিও বার্তায় শ্রষ্টি বলেন, আমার ভাই সাত জন্ম একসাথে থাকার প্রতিজ্ঞা করেছিল সোনমের সঙ্গে। কিন্তু সাত দিনও কাটাতে পারল না। সে কী অপরাধ করেছিল যে তার এমন পরিণতি হলো? সোনমের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, তুমি পালিয়ে যেতে পারতে, যদি কাউকে ভালোবাসতে। খুনের কী দরকার ছিল?
ঘটনার সূত্রপাত ১১ই মে রাজা ও সোনমের বিয়ের মাধ্যমে। ২০ মে তারা হানিমুনে মেঘালয়ে যান। ২৩ মে একটি পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে তারা নিখোঁজ হন। এরপর ২রা জুন রাজার মৃতদেহ উদ্ধার হয় - তার দেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ৮ই জুন উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে সোনমের খোঁজ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার মূল পরিকল্পনাকারী সোনম ও রাজ।
মেঘালয় পুলিশ জানায়, সোনম-রাজ তিনজন ভাড়াটে খুনি ভাড়া করে রাজাকে হত্যা করেন। এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘিরে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিশেষ করে, শেষকৃত্যে খুনির উপস্থিতি ও মৃতের পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে- প্রেম, প্রতারণা, হত্যাকাণ্ড এবং বিশ্বাসঘাতকতার এক নির্মম চিত্র যেন ফুটে উঠেছে এই ঘটনায়। এখন সবার দৃষ্টি আদালতের দিকে - কী শাস্তি পায় সোনম ও তার প্রেমিক রাজ, সেটাই দেখার বিষয়।

No comments