প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটে শিক্ষিকার রগরগে ছবি, অতঃপর...

কিরস্টি বুচান (৩৪) পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষিকা। পড়ান গ্লাসগোতে অবস্থিত ব্যানারম্যান হাইস্কুলে। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি প্রাপ্ত বয়স্কদের একটি ওয়েবসাইটে নিজের নগ্ন ছবি পোস্ট করতেন। তার বিনিময়ে ভক্তদের কাছ থেকে মাসে উপার্জন করেন ৬০ হাজার পাউন্ড। শিক্ষিকা হয়ে এমন রগরগে ছবি পোস্ট করা নৈতিকতার সঙ্গে একেবারেই বেমানান। এক পর্যায়ে কিছু ছবি চলে যায় তার শিক্ষার্থীদের হাতে। তারা বুচানের নগ্ন, রগরগে ওইসব ছবি স্কুলে পোস্ট করে। জানাজানি হয় সব। ফলে এখন শিক্ষা বিষয়ক পর্যবেক্ষকদের নজরদারিতে আছেন ২৪ বছরের বুচান। এরই মধ্যে তিনি স্কুলে পড়ানো বাদ দিয়েছেন। দাবি করেছেন, অনেক দেনা হয়েছিল। সেটা শোধ করার জন্য সবেমাত্র তিনি ওই সাইটে ছবি পোস্ট শুরু করেছিলেন। বুচানের এ বিষয়ে তদন্ত করছে গ্লাসগো সিটি কাউন্সিল। একই সঙ্গে তারা বিষয়টিকে জেনারেল টিচিং কাউন্সিল ফর স্কটল্যান্ডের (জিটিসিএস) কাছে হস্তান্তর করেছে। কিরস্টি বুচান এক সন্তানের মা। তাকে এখন ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের সামনে হাজির হতে হবে। সেখানে তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

জিটিসিএস অভিযোগ করেছে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ‘জেসিকা জ্যাকরাবিটক্স’ ডাকনাম ব্যবহার করে প্রাপ্ত বয়স্কদের ওই ওয়েবসাইটে পেজ খোলেন। সেখানে তার প্রোফাইলে রগরগে ছবি ও ভিডিও বিক্রির প্রস্তাব দেয়া হয়। নিজের জীবনীতে লিখেছেন- ‘গুড টিচার গোন ব্যাড, রিয়েলি ব্যাড’। অর্থাৎ খুবই ভাল শিক্ষিকা খারাপ হয়ে গেছেন, খুবই খারাপ। প্রতিদিন এতে ছবি পোস্ট করার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই প্রাপ্ত বয়স্কদের ওয়েবসাইটে তার এসব ছবি যারা দেখেছেন তাদের সবার বয়স ১৮ বছরে ওপরে নয়। ফলে এ বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৮ বছর বয়সের আগে যৌন বিষয়ে কোনো বালক বা বালিকার এমন যৌনতায় জড়িত হওয়া আইন অনুমোদন করে না। ল্যাঙ্কাশায়ারের কোটব্রিজের বাসিন্দা মিস বুচান। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একটি খবরের কাগজে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তখনও তিনি স্কুলের সঙ্গে যুক্ত। এ সময়েই তিনি ওই ওয়েবসাইটে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জিটিসিএস দাবি করেছে, তিনি যেসব কর্মকাণ্ড করেছেন তাতে সততায় ঘাটতি ছিল। জবাবে মিস বুচান বলেন, চাইলে আপনি আমাকে ঘৃণা করতে পারেন। আমি সংকীর্ণমনা মানুষদের পছন্দ করি না। এসব মানুষ প্রকৃত সত্য না জেনে বিচার করে। একজন সাধারণ নারীর মতোই আমার শরীর আছে। আমার ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দিলে মনে কিছু করবো না। আমি সারাবিশ্বের দিকে তাকাবো না। আমি আমার সন্তানের চাহিদা পূরণ করতে পারছি কিনা, দেখবো সেটা। তিনি আরও বলেছেন, ২০২২ সালে ওই ওয়েবসাইটে যুক্ত হয়েছেন। কারণ, স্কুলে তিনি কম বেতন পেতেন। তার বাড়তি অর্থের প্রয়োজন ছিল। সেই চাহিদা পূরণ করতে এ কাজ করেছেন। এর আগে তিনি একজন অভিনেত্রী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.