প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটে শিক্ষিকার রগরগে ছবি, অতঃপর...
জিটিসিএস অভিযোগ করেছে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ‘জেসিকা জ্যাকরাবিটক্স’ ডাকনাম ব্যবহার করে প্রাপ্ত বয়স্কদের ওই ওয়েবসাইটে পেজ খোলেন। সেখানে তার প্রোফাইলে রগরগে ছবি ও ভিডিও বিক্রির প্রস্তাব দেয়া হয়। নিজের জীবনীতে লিখেছেন- ‘গুড টিচার গোন ব্যাড, রিয়েলি ব্যাড’। অর্থাৎ খুবই ভাল শিক্ষিকা খারাপ হয়ে গেছেন, খুবই খারাপ। প্রতিদিন এতে ছবি পোস্ট করার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই প্রাপ্ত বয়স্কদের ওয়েবসাইটে তার এসব ছবি যারা দেখেছেন তাদের সবার বয়স ১৮ বছরে ওপরে নয়। ফলে এ বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৮ বছর বয়সের আগে যৌন বিষয়ে কোনো বালক বা বালিকার এমন যৌনতায় জড়িত হওয়া আইন অনুমোদন করে না। ল্যাঙ্কাশায়ারের কোটব্রিজের বাসিন্দা মিস বুচান। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একটি খবরের কাগজে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তখনও তিনি স্কুলের সঙ্গে যুক্ত। এ সময়েই তিনি ওই ওয়েবসাইটে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জিটিসিএস দাবি করেছে, তিনি যেসব কর্মকাণ্ড করেছেন তাতে সততায় ঘাটতি ছিল। জবাবে মিস বুচান বলেন, চাইলে আপনি আমাকে ঘৃণা করতে পারেন। আমি সংকীর্ণমনা মানুষদের পছন্দ করি না। এসব মানুষ প্রকৃত সত্য না জেনে বিচার করে। একজন সাধারণ নারীর মতোই আমার শরীর আছে। আমার ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দিলে মনে কিছু করবো না। আমি সারাবিশ্বের দিকে তাকাবো না। আমি আমার সন্তানের চাহিদা পূরণ করতে পারছি কিনা, দেখবো সেটা। তিনি আরও বলেছেন, ২০২২ সালে ওই ওয়েবসাইটে যুক্ত হয়েছেন। কারণ, স্কুলে তিনি কম বেতন পেতেন। তার বাড়তি অর্থের প্রয়োজন ছিল। সেই চাহিদা পূরণ করতে এ কাজ করেছেন। এর আগে তিনি একজন অভিনেত্রী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন।

No comments