গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করেছে ইসরাইল: আরও ৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করেছে ইসরাইল। এর আগে হামাসের বিরুদ্ধে ত্রাণ সামগ্রী চুরির অভিযোগ করে তেল আবিব। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজের সঙ্গে বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে দুই দিনের মধ্যে একটি পরিকল্পনা উত্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে হামাস ত্রাণ সামগ্রীর ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়েছে, ইসরাইলি সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনকার সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজায় দক্ষিণ দিক দিয়ে ত্রাণ প্রবেশ অব্যাহত আছে। তবে উত্তরে ত্রাণ প্রবেশের বিষয়ে তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। গাজার দক্ষিণাঞ্চল ও কেন্দ্রস্থলে ত্রাণ সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ সংস্থা গাজা হিউম্যানটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র তাদেরকেই গাজায় খাদ্য বিতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। উল্লেখ্য, দুই দশক ধরে গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে থাকলেও দুই বছরের যুদ্ধে উপত্যকাটির অল্পকিছু অংশ সংগঠনটির নিয়ন্ত্রণে আছে। ফিলিস্তিনের বেসরকারি সংগঠনগুলোর জন্য ছায়া সংস্থার পরিচালক আহমেদ আল-শাওয়া বলেছেন, উপত্যকাটিতে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র সংকট বিদ্যমান। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোর কাছে সবসময় ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়।

২৪ ঘণ্টায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরাইল
একদিনে আরও ৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, চার সপ্তাহে ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫৪৯ জন। আহত আরও ৪ হাজার ৬৬ জন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫৬ হাজার ২৫৯ জন। আহত ১ লাখ ৩২ হাজা ৪৫৮ জন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে প্রাণ হারায় ১ হাজার ১৩৯ ইসরাইলি। হামাস জিম্মি করে কমপক্ষে ২০০ জনকে। এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আল মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে এক ফিলিস্তিনি চিকিৎসক ও তার ভাতিজি নিহত হয়েছেন।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.