ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার নিয়ে ভাবাও কি ইহুদিবিদ্বেষ হিসেবে দেখাতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন by অ্যান্টনি লোয়েনস্টাইন

জায়নবাদ একটি আদর্শ, যা একটি রাষ্ট্রকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। দুনিয়ার সব ইহুদি ইসরায়েল রাষ্ট্রের কার্যক্রমের অন্ধ সমর্থক নন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ইহুদিদের প্রকৃত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গাজা যুদ্ধ ও ইসরায়েলের শ্রেষ্ঠত্ববাদের শিগগিরই অবসান হওয়া জরুরি। এসব নিয়ে মিডল ইস্ট আইয়ে লিখেছেন অ্যান্টনি লোয়েনস্টাইন। এই স্বাধীন সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতার সর্বশেষ বই ‘দ্য প্যালেস্টাইন ল্যাবরেটরি: হাউ ইসরায়েল এক্সপোর্টস দ্য টেকনোলজি অব অকুপেশন অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড’। এতে বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা আছে।

কেফিয়াহ (ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী রুমাল) ও তরমুজের ছবি—এই দুটি ইহুদিবিদ্বেষের প্রতীক। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি প্রশিক্ষণে এমন কথা বলা হয়েছে। প্রশিক্ষণটির আয়োজক ছিল ইসরায়েলপন্থী গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সংগঠন। ‘জুইশ কারেন্টস’ নামের একটি মার্কিন সাময়িকীর হাতে এ প্রশিক্ষণের বিস্তারিত তথ্য এসেছে। তারা এ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন ‘ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স’–এর জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডোভ কেন্ট জুইশ কারেন্টসকে বলেন, ‘প্রশিক্ষণে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার নিয়ে চিন্তা করাকেও ইহুদিবিদ্বেষ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। এমনকি কখনো কখনো ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্বকেও ইহুদিবিদ্বেষ বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।’ তাঁর মতে, এসব কিছু আসলে ইহুদিদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে না।

ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স ইহুদিবিদ্বেষের (অ্যান্টি–সেমিটিজম) অপব্যবহার নিয়ে কাজ করে।

প্রায় প্রতি সপ্তাহেই মূলধারার পশ্চিমা গণমাধ্যম ও জায়নবাদী গোষ্ঠীগুলো দাবি করছে, ইহুদিবিদ্বেষ নাকি এখন রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদিবিদ্বেষবিরোধী সংগঠন অ্যান্টি-ডিফামেশন লিগের (এডিএল) প্রধান জনাথন গ্রিনব্ল্যাট সম্প্রতি সিএনএনকে বলেছেন, ২০১৫ সালের তুলনায় ইহুদিবিদ্বেষী ঘটনা ১০ গুণ বেড়েছে। তাদের নতুন গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

তবে এডিএল স্বীকার করেছে, ২০২৪ সালে তারা ৯ হাজার ৩৫৪টি ইহুদিবিদ্বেষের ঘটনা খতিয়ে দেখেছে। এর মধ্যে ৫৮ শতাংশই ছিল ‘ইসরায়েল বা জায়নবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট’।

এডিএলের যুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী যদি স্লোগান দেন, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, তাহলে সেটিও ইহুদিবিদ্বেষী উক্তি, ইহুদিদের জন্য হুমকি হিসেবে গণ্য হবে।

শান্তিপূর্ণ গণহত্যাবিরোধী আন্দোলনকেও স্বভাবগতভাবে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। এ কারণেই এডিএলের মতো সংগঠনগুলো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ নিষিদ্ধের দাবি তুলছে। তাদের ভাষায়, ‘টিকটক নিয়ে আমাদের সত্যিই একটা সমস্যা আছে।’ এডিএলের এ কথার মর্মার্থ হলো নতুন প্রজন্ম যথেষ্ট ইসরায়েলপন্থী নয়।

বিপজ্জনক দৃষ্টিভঙ্গি

প্রতিদিন অনলাইনে ইসরায়েলের হাতে গাজায় ফিলিস্তিনি শিশুদের গণহত্যার ছবি দেখে অনেকে স্বাভাবিকভাবে নেতিবাচকভাবে প্রতিক্রিয়া জানান। আবার অনেকে সেসব সহিংসতার পক্ষে প্রকাশ্যে গর্ব করে বেড়ান। যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, দেশটিতে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নাটকীয়ভাবে কমেছে। বিশেষ করে ৪৯ বছরের কম বয়সী মানুষের বেশির ভাগের দৃষ্টিভঙ্গি এখন নেতিবাচক।

ইহুদি আধিপত্য ও ইসরায়েল সংকটে পড়লে সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে, মূলত ইহুদিবিদ্বেষের কারণেই এমনটি হচ্ছে। ইহুদিবিদ্বেষ খুব পুরোনো ও অযৌক্তিক একধরনের ঘৃণা। শুধু ইহুদি হওয়ার কারণেই তারা এসবের শিকার হচ্ছে।

শুধু ধর্মীয় কারণেই ইহুদিদের ঘৃণা করা হচ্ছে, এ দৃষ্টিভঙ্গি বিপজ্জনক ও অনেকাংশে ভ্রান্ত। প্রকৃত ইহুদিবিদ্বেষের ক্ষেত্রে ইহুদি বা তাদের উপাসনালয়গুলো (সিনাগগ) নিশানা করা হয়, যা বিশ্বের দেশে দেশে ঘটছে। এটি সব মানুষের জন্যই উদ্বেগের বিষয়। শুধু ইহুদি হওয়ার কারণে ইহুদিদের ওপর হামলা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। অ্যান্টি–সেমিটিজম একটি অভিশাপ, যার বিরুদ্ধে শক্তভাবে লড়াই করতে হবে। পাশাপাশি বাকি সংখ্যালঘুদের প্রতিও ঘৃণার যে বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধেও লড়তে হবে।

কিন্তু ইসরায়েল ও ইহুদিধর্মকে ইচ্ছাকৃতভাবে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্বের প্রায় সব মূলধারার জায়নবাদী গোষ্ঠী, ট্রাম্প প্রশাসন ও করপোরেট গণমাধ্যম এটা করছে। ফলে তথাকথিত ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু ইহুদিদের জীবনের নিরাপত্তা রক্ষায় আদতে কিছুই করা হচ্ছে না।

ইসরায়েল যখন গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর, লেবানন, সিরিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে নজিরবিহীন সহিংসতা চালায়, তখন কি এর দায় সারা দুনিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়ের? অনেক ইহুদি ধর্মাবলম্বী মানুষের সঙ্গে ইসরায়েল বা দেশটির সরকারের সঙ্গে বাস্তব কোনো সংযোগ নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও যেসব বিখ্যাত কণ্ঠস্বর ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে নিজের মায়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন, তাঁদের বিষয়ে কী বলা হবে?

একজন ইহুদি হিসেবে আমি জানি, গাজায় চলমান গণহত্যা সত্ত্বেও অ-ইহুদিরা যখন ইহুদি সম্প্রদায়ের কাউকে ইসরায়েলকে নিঃশর্তভাবে সমর্থন করতে দেখেন, তখন অনেক সময় তাঁরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হন। তখন প্রশ্ন ওঠে, ইসরায়েলকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে কি কোনো সীমারেখা নেই? ইসরায়েল কি এমন অপরাধ করেনি, যার কারণে এ অন্ধ সমর্থন বন্ধ করা যেতে পারে?

ইসরায়েল নিজেকে গর্বিতভাবে একটি ইহুদি শ্রেষ্ঠত্ববাদী রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করে। রাষ্ট্রটি সক্রিয়ভাবে অ-ইহুদিদের প্রতি বৈষম্য করে, তাদের নিশানা ও হত্যা করে। তাই কেউ যদি ইসরায়েলি ইহুদি ও অন্য দেশের ইহুদিদের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারেন, এতে আমি বিস্মিত হই না। কারণ, ভিন্ন দেশে বসবাসকারী ইসরায়েল রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রটির সমর্থকেরা নিজেরাই বলে থাকেন, আদর্শিক বা বিশ্বাসগতভাবে তাঁদের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে কোনো পার্থক্য নেই। আর এভাবেই একটি বিশেষ ধরনের ইহুদিবিদ্বেষের (অ্যান্টি–সেমিটিজম) প্রচারণা টিকে থাকে ও বিস্তৃতি লাভ করে।

মনে রাখা দরকার, জায়নবাদ মানে ইহুদিধর্ম (জুদায়িজম) নয়। আর জায়নবাদের বিরোধিতা মানেই ইহুদিবিদ্বেষ নয়। জায়নবাদ একটি আদর্শ, যা একটি রাষ্ট্রকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। পৃথিবীর অন্য যেকোনো রাষ্ট্রের মতো এটিও প্রশ্নবিদ্ধ ও সমালোচিত হতে পারে এবং তাই হওয়া উচিত। প্রতিটি রাষ্ট্রেরই আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলা উচিত। প্রতিটি রাষ্ট্রের তার নাগরিকদের মানবিক ও সমানভাবে মর্যাদা দেওয়া উচিত। ইসরায়েলসহ বিশ্বের আরও অনেক রাষ্ট্রই এ মৌলিক দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ।

ট্রাম্প প্রশাসন প্রকাশ্যে ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু বাস্তবে তা তথাকথিত ‘খারাপ’ ইহুদিদের বিরুদ্ধে অভিযানে পরিণত হয়েছে। যাঁরা ইসরায়েলের সব দোষ চোখ বুজে সমর্থন করেন না, তাঁরাই খারাপ ইহুদি।

সম্প্রতি পাঁচ শতাধিক রেবাই (ধর্মগুরু) ও ক্যান্টর একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘অ্যান্টি–সেমিটিজম’ নীতিকে তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে বিভাজন সৃষ্টিকারী বলে উল্লেখ করেছে।

‘ইকো চেম্বার’ তৈরি

ইহুদিদের রক্ষার নামে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উচ্চশিক্ষার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছেন। এটি আসলে একটি ধোঁয়াচ্ছন্ন কৌশল, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এমন ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে চিন্তাশীল মতামতের জায়গা নেই। সেখানে ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, ধর্ম, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও ইসলাম নিয়ে শুধু অনুমোদিত বক্তব্যই গ্রহণযোগ্য। যেসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসব মেনে চলবে, তারাই কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল পাবে।

কেন আজও বিশ্বজুড়ে বিপুলসংখ্যক তরুণ নাৎসি শাসনের ভয়াবহতা বা হলোকাস্ট সম্পর্কে এত কম জানেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষানীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারত। অথবা ইসরায়েলি জাতীয়তাবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ইহুদি সম্প্রদায়ের দীর্ঘ ও গৌরবময় বিরোধিতার যে ইতিহাস রয়েছে, সেটাও উচ্চশিক্ষার অংশ হতে পারত।

কিন্তু দুঃখজনকভাবে, চলমান পরিস্থিতি বোঝার কথা ছিল এমন অনেক ইহুদি ট্রাম্পের এজেন্ডাকে সমর্থন করছেন। এমনকি তাঁরা শান্তিপূর্ণ, ফিলিস্তিনপন্থী কর্মীদের জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়াকে সমর্থন করছেন। অথচ ফিলিস্তিনপন্থীরা কোনো মার্কিন আইন লঙ্ঘন করেননি।

মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে আজ যা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে তা ইহুদিদের বিরুদ্ধেও করা হতে পারে। যারা এটা বুঝতে পারছে না, তারা ইতিহাস ও ট্রাম্পের কট্টর ডানপন্থী এজেন্ডা সম্পর্কে অজ্ঞ। প্রকৃতপক্ষে ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীদের ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ইসরায়েলবিরোধী মতকে দমন ও স্তব্ধ করে দেওয়া।

ইসরায়েলি চরমপন্থার স্বার্থে ইহুদিবিদ্বেষকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি বন্ধুত্বের কোনো নিদর্শন নয়। ইসরায়েলের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হারেৎজ–এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল, ‘হার্ভার্ড ধ্বংস করার জন্য একদিন ইহুদিদের দায়ী করা হবে, তখন বুঝবে’। এমনকি কয়েকজন ইসরায়েলি শিক্ষাবিদও এ ঝুঁকির কথা স্বীকার করেছেন। এক খোলাচিঠিতে তাঁরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ‘ইহুদিবিরোধী মনোভাবকে আসকারা দিচ্ছে, যা সহজেই গোঁড়ামি, বর্জনবাদী ও বর্ণবাদের মতো মতাদর্শে রূপ নিতে পারে’।

ট্রাম্পের ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দূত রেবাই ইয়েহুদা কাপলুন চাবাদ-লুবাভিচ (বিশ্বব্যাপী ইহুদি পরিচয় রক্ষাবিষয়ক আন্দোলন) গোষ্ঠীর একজন উগ্রপন্থী সদস্য এবং প্রভাবশালী ইসরায়েলপন্থী ব্যক্তিত্ব মিরিয়াম অ্যাডেলসনের দীর্ঘদিনের বন্ধু। তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের ঘোর সমর্থক।

ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে সৎ প্রচারণা, শিক্ষা ও বুদ্ধিবৃত্তিক কঠোরতা দরকার। ট্রাম্প প্রশাসন এ গুরুতর সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার সক্ষমতা রাখে না এবং তা করতে চায়ও না। বরং তারা ইসরায়েলপন্থী কণ্ঠগুলোর একটি ইকো চেম্বার (এমন পরিবেশ যেখানে শুধু নিজের পছন্দের কথা শোনা যায়) গড়ে তুলতে চায়, যা তাদের সবচেয়ে জোরালো সমর্থকদের চুপ করিয়ে দেবে। তাদের এসব সমর্থকদের মধ্যে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইভঞ্জেলিকরা (যাঁরা বাইবেলকে ঈশ্বর প্রদত্ত ও নির্ভুল মনে করেন) অন্যতম।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের নিজস্ব কর্মকাণ্ড বিশ্বজুড়ে ইহুদিবিদ্বেষী মনোভাব বাড়িয়েছে। তাই ইসরায়েলি সামরিকতন্ত্র ও শ্রেষ্ঠত্ববাদকে যত দ্রুত সম্ভব একঘরে এবং শেষ করা যাবে, তত দ্রুতই বিশ্বব্যাপী ইহুদিদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।

 রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে অংশগ্রহণকারী কিছু মানুষের হাতে ইসরায়েলি পতাকা ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে লেখা প্ল্যাকার্ড। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকিতে, ১৬ জুলাই ২০২৪ সাল
রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে অংশগ্রহণকারী কিছু মানুষের হাতে ইসরায়েলি পতাকা ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে লেখা প্ল্যাকার্ড। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকিতে, ১৬ জুলাই ২০২৪ সাল। ফাইল ছবি: এএফপি

No comments

Powered by Blogger.