মেয়েকে ওঝার কাছে বিক্রি, এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিশেষ করে মি. ভ্যান ও মিসেস স্মিথকে তিরস্কার করেন। তিনি বলেন, তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য মোটেও অনুতপ্ত নয়। তাদের শাস্তি কম করার কোনো উপায় তারা রাখেনি। এছাড়া তাদের কর্মকাণ্ডে সালদানহার বাসিন্দাদের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সে বিষয়েও বলেন ওই বিচারক। স্থানীয় জনগণ যাতে রায় শুনতে পারেন এ জন্য সালদানহার একটি ক্রীড়াকেন্দ্রে বিচারের রায় দেয়া হয়। ওই সময় স্মিথ বা তার সহযোগিরা কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে জশলিন স্মিথের মর্মান্তিক ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন সেখানে উপস্থিত সবাই। ওয়েস্টার্ন কেপ পুলিশ কমিশনার থেম্বিসাইল পাতেকিলে বলেন, শিশুটিকে অনুসন্ধানের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজন হলে দেশের বাইরেও অনুসন্ধান চালানো হবে। যতক্ষণ না তাকে পাওয়া যাবে ততক্ষণ আমরা অভিযান অব্যাহত রাখবো। আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করছি।
এদিকে মেয়ের কাছে পুনরায় নাতনির সন্ধান চান জশলিনের নানি আমান্দা স্মিথ-ড্যানিয়েলস। তিনি বলেন, হয় তাকে ফিরিয়ে দাও নাহলে বলো সে কোথায় আছে। তিনি আরও বলেন, তাদেরকে যেই সাজায় দেওয়া হোক না কেন, তা তার নাতনিকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। ড্যানিয়েলস বলেন, জশলিন নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার পরিবারটি ভেঙে পড়েছে। এ সময় মেয়ের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অন্যকে দোষারোপ করা বন্ধ করো। যা করার তুমিই করেছো। রায় দেয়ার সময় কমপক্ষে ৩০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। র্যাকেল স্মিথ ও তার সহযোগিরা অবশ্য তাদের পক্ষে কোনো সাক্ষীকে ডাকতে অস্বীকৃতি জানায়। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন, র্যাকেলের বন্ধু ও প্রতিবেশী লরেন্টিয়া লম্বার্ড। তিনি অভিযোগ করেন, র্যাকেল তাকে বলেছিলেন, আমি একটি বোকামি করেছি, জশলিনকে বিক্রি করে দিয়েছি। লম্বার্ড বলেন, জশলিনকে যার কাছে বিক্রি করা হয়েছে, সে তার চোখ ও চামড়ার জন্য তাকে ক্রয় করে। একজন স্থানীয় পাদ্রি সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ২০২৩ সালে তিন সন্তানের জনক র্যাকেলকে তার সন্তানদের বিক্রির বিষয়ে বলতে শোনেন। প্রত্যেকের মূল্য হাকান ১ হাজার ১০০ ডলার। জশলিনের শিক্ষক অভিযোগ করেন, র্যাকেল একবার বলেছিলো, জশলিন একটি কন্টেইনারে আছে। আমরা জাহাজে করে পশ্চিম আফ্রিকায় যাচ্ছি।

No comments