তাপদাহে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে by তামান্না মোমিন খান

চৈত্র মাসে সূর্যের তাপ যেন বেড়েই চলেছে। ঘর থেকে বের হলেই সূর্যের আঁচ টের পাওয়া যায়। দিনের বেলায় তাপমাত্রা বাড়ছে, রাতের বেলায় কমছে। তাপমাত্রার উঠা-নামার এ খেলায় সকলকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মেডিসিন পরিপাকতন্ত্র এবং লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হেল কাফি। বিশেষ করে এমন তাপদাহে শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি থাকে বেশি জানিয়ে ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, বেশি গরমে ঘেমে ব্রঙ্ককাইটিস, নিউমোনিয়া, শ্বাসজনিত রোগ বেড়ে যায়। যাদের আগে থেকেই শ্বাসজনিত রোগ আছে তাদের এ সমস্যা আরও বাড়ে। এ কারণে বয়স্ক ও শিশুদের এ সময় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বেরুনোই ভালো। আর বাইরে যদি যেতেই হয় হালকা সুতির ফুলহাতা পোশাক পরে বের হতে হবে; যাতে তাপদাহে চামড়া পুড়ে না যায়। গরম বেড়ে গেলে মানুষের ঠাণ্ডা জাতীয় পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ফলে ঠাণ্ডা, কাশি ও গলা ব্যথা বেড়ে যায়। যেকোনো বাচ্চা বা বয়স্কদের জ্বরের সঙ্গে যদি শ্বাসকষ্ট ও কাশি হয় সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তাপদাহে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য না খেলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাবে।

মানুষ তৃষ্ণা মেটানোর জন্য রাস্তা থেকেই শরবত, আখের রস ও বিভিন্ন জাতীয় পানীয় কিনে খায় যা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এ থেকে আমাশয়, ডায়রিয়া ও জন্ডিসের মতো রোগ দেখা দেয়। পানিটা অবশ্যই বিশুদ্ধ হতে হবে। এজন্য পানি ভালোভাবে টগবগ করে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে খেতে হবে। শরবতটাও  ফুটানো পানি দিয়েই তৈরি করতে হবে। যারা বাইরে থাকবেন তারা যত্রতত্র শরবত বা পানি পান করা থেকে বিরত থাকবেন। ডাব বা রসালো ফল খেতে পারেন। গরমে শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি হতে পারে। যেহেতু ঈদের ছুটি শেষে স্কুল খুলে যাচ্ছে তাই শিশুদের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। তারা যেন স্কুলে গিয়ে আম মাখা, আচার, চাটনি বা ঝাল মুড়ি- এধরনের খাবার না খায়। কারণ শিশুরা ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়। যারা বয়স্ক তাদের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।  ডায়রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ওর স্যালাইন খাওয়া শুরু করতে হবে। আর লক্ষ্য রাখতে হবে শরীরে পানি শূন্যতা যেন না হয়। পানি শূন্যতা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিতে হবে। সুতরাং পিতামাতাকে কিন্তু এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এরই মধ্যে ডেঙ্গুতে একজন মারা গিয়েছে। ডেঙ্গুর বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। বাড়ির আশপাশে যেন ডেঙ্গু মশা জন্মাতে না পারে  সেজন্য চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। ডেঙ্গু হলে প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার পানি পান করতে হবে।

mzamin


No comments

Powered by Blogger.