ইসরাইলের হামলায় ১৩ সদস্যের পরিবার নিশ্চিহ্ন

গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও কমপক্ষে ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে খান ইউনিসে একটি বাড়িতে হামলায় ওই পরিবারের ১৩ সদস্যের সবাই নিহত হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

এতে বলা হয়, বেসামরিক ও মানবিক সাহায্য বিষয়ক অবকাঠামোর উপর অব্যাহত এবং ইচ্ছাকৃত হামলার মধ্যেই দক্ষিণ খান ইউনিসে তাঁবুতে তৈরি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলি হামলায় পুরো একটি পরিবার ‘নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে। ১২টি সাহায্য সংস্থার একটি দল বলেছে, গাজা ‘আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে খারাপ মানবিক ব্যর্থতাগুলির মধ্যে একটি’।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ মাস আগে গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫১,০৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১৬,৫০৫ জন আহত হয়েছেন। গাজা সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০-এরও বেশি। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে  ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে কমপক্ষে ১,১৩৯ জন নিহত হয়। তারা জিম্মি করে ২ শতাধিক মানুষকে। ওদিকে ইসরাইল জানিয়েছে ইয়েমেন থেকে তাদের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করেছে। ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

ওদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী এবং লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলের সপ্তাহব্যাপী অবরোধ শেষ করার এবং অবরুদ্ধ ছিটমহলে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির জন্য সর্বোচ্চ চাপ এবং সর্বোচ্চ উৎসাহ প্রদানের জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ করা প্রয়োজন। এই মাসের শেষের দিকে কানাডার সাধারণ নির্বাচনের আগে কানাডার চারটি প্রধান দলের নেতাদের চূড়ান্ত বিতর্কে অংশ নেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।

এক্সে পোস্ট করে কার্নি ‘সকল জিম্মির মুক্তি’, ‘গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য আরও মানবিক সহায়তা এবং ‘স্থায়ী দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান’-এর আহ্বান জানিয়েছেন। ওদিকে, ইয়েমেনি বন্দরে মার্কিন সামরিক হামলায় নিহতের সংখ্যা আবারও বেড়েছে। ইয়েমেনের হোদেইদাহ গভর্নরেটের রাস ইসা বন্দরে মার্কিন সেনাবাহিনীর হামলায় মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে ও প্রায় ১০২ জন আহত হয়েছেন।

ওদিকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ গাজা সিটি থেকে বলছেন, সেখানে ৩৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে তাঁবুর ভিতরে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। অন্যদেরকে গাজার উত্তর অংশে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলিকে আশ্রয় দেয়া একটি স্কুলের আশ্রয়স্থলের ভিতরে হত্যা করা হয়েছে।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.