'ভারতে স্বাধীনতার ৮০ বছর হতে চললো, এখনও পর্যাপ্ত সরকারি চাকরির সংস্থান করা যায়নি'

৮০ বছরের দোরগোরায় ভারতের স্বাধীনতা। কিন্তু, এতদিনেও যোগ্য প্রার্থীদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে সরকারি চাকরির বন্দোবস্ত করা সম্ভব হয়নি। এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালত সরকারি চাকরির অভাবের কথা তুলে ধরে তার উপর জোর দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের মতে, খুব কম সংখ্যক সুযোগ থাকার ফলে চাকরির যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বহু প্রার্থী সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ বলছে, ‘যোগ্য প্রার্থীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন একটি সরকারি চাকরি পাওয়ার আশায়। কিন্তু, পর্যাপ্ত চাকরির সুযোগের অভাবে বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাদের।’

আসলে সুপ্রিম কোর্টে বিহারের চৌকিদার পদ সংক্রান্ত বিতর্কের একটি মামলার শুনানি ছিল। বিহারের নিয়ম ছিল সে রাজ্যের চৌকিদার পদটি বংশানুক্রমিকভাবে চালু থাকবে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি চৌকিদার পদে চাকরি করছেন, তার অবর্তমানে তারই পরিবারের কেউ চাকরি পাবেন। কিন্তু, সেই প্রথাকে পাটনা হাই কোর্ট বাতিল করে দেয়। পাটনা হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, এই প্রথার কোনও সাংবিধনিক বৈধতা নেই। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি দায়ের হয়েছিল। হাইকোর্ট কি স্বতঃপ্রণোদিত ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে বংশানুক্রমিক চৌকিদান নিয়োগের নিয়মকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে পারে? সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনার জন্য এই প্রশ্ন ওঠে। সেই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ পাটনা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে। আদালতের বক্তব্য, স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর প্রায় ৮০ বছরের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও আমরা যারা সরকারি চাকরি করতে চাই , তাদের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি চাকরির সংস্থান করা যায়নি।  

সূত্র : livelaw

mzamin

No comments

Powered by Blogger.