কাশ্মীরে হত্যা মিশন: পাইন বন থেকে বেরিয়ে আসে রাইফেল হাতে ঘাতক
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় ৫ থেকে ৬ জনের একটি গ্রুপ। তারা তৃণভূমির পাশের একটি পাইন বন থেকে বেরিয়ে আসে। এ বর্ণনা দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, এরপর তিনটি জায়গায় ভাগ হয়ে যায় তারা। তাদের হাতে ছিল রাইফেল। কোনো কোনো রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হামলাকে রেকর্ড করার জন্য তাদের কাছে বডিক্যামও ছিল। পর্যটকরা অনেক পরে খুনিদের উপস্থিতি টের পান। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। হামলার আগে বাচ্চারা সেখানে ট্রামপোলিনের (বাচ্চাদের একরকম খেলনা) ওপর লাফালাফি করছিল। বড়রা ভেলপুরি খাচ্ছিলেন। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে প্রথম গুলি চালানো হয়। ১০ মিনিট ধরে চলে গুলি। বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো থেকে জানা যায়, সন্ত্রাসীরা প্রথমে তাদের দিকে এগিয়ে আসে। তাদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে এবং ইসলামিক আয়াতের ওপর তাদের পরীক্ষা নেয়। এরপর তাদেরকে হত্যা করে। বেশির ভাগ মানুষকেই মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তারা জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়, যেখান থেকে তারা এসেছিল। ঘটনার ৩০ মিনিট পর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে পুলিশ হামলার বিষয়ে জানতে পারে। পূর্বেই বলা হয়েছে, গাড়িতে করে বৈসরণ থেকে পহেলগাঁওয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। পথটি একটি জটিল ভূখণ্ডের মধ্যদিয়ে গেছে। এর চারপাশে ঝর্ণা, বন ও কর্দমাক্ত পথ। ট্রেকিং বা ঘোড়ায় চড়ে যেতে কমপক্ষে এক ঘণ্টা লাগে। ফলশ্রুতিতে উপত্যকাটিতে সাহায্য পাঠালেও তা পৌঁছাতে বেলা ৩টার বেশি বেজে যায়। বেঁচে ফেরা অনেকে বলছেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হামলার কিছুক্ষণ পরও জীবিত ছিলেন। জরুরি ব্যবস্থা নিলে হয়তো তাদের বাঁচানো যেতো। হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও পর্যটকদের ঘোড়ার পিঠে চড়া এমন এক কাশ্মীরি নিহত হন। এমন সময় ওই নৃশংস হামলা হলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স চারদিনের সফরে ভারতে। এদিকে ওই ঘটনার আগে সৌদি আরব সফরে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে হামলার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক তিনি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন। এক্সে এক পোস্টে মোদি বলেন, জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তারা পার পাবে না। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সন্দেহ করছে এর পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে। আরও দাবি করা হয়, দেশটি অতীতে কয়েকবার ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদত দিয়েছে। এদিকে ওই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ভারতের সেনাপ্রধান কাশ্মীরে যাচ্ছেন
পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতি যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সেই আবহে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী শুক্রবার শ্রীনগর যাচ্ছেন। তিনি নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, তার সফরকালে স্থানীয় সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীকে কাশ্মীর উপত্যকা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিচালিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান সম্পর্কে অবহিত করবেন।
উচ্চ-স্তরের পর্যালোচনায় ১৫তম কর্পসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ফর্মেশনের কমান্ডাররা উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে,বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত নির্বাচিত দেশের রাষ্ট্রদূতদের পহেলগাঁওয়ের ঘটনাবলী এবং ভারত যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে সে সম্পর্কে অবহিত করেন।
জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইতালি, কাতার, জাপান, চীন, রাশিয়া, জার্মানি এবং ফ্রান্সের সিনিয়র কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এই বৈঠকে জি-২০ দেশগুলির রাষ্ট্রদূতদের, যাদের মধ্যে চীন ও কানাডার প্রতিনিধিরাও ছিলেন। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণার পর এই কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু করা হয়।
অন্যদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায়, ভারত সরকার তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা পরিষেবা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, তার সফরকালে স্থানীয় সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীকে কাশ্মীর উপত্যকা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিচালিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান সম্পর্কে অবহিত করবেন।
উচ্চ-স্তরের পর্যালোচনায় ১৫তম কর্পসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ফর্মেশনের কমান্ডাররা উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে,বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত নির্বাচিত দেশের রাষ্ট্রদূতদের পহেলগাঁওয়ের ঘটনাবলী এবং ভারত যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে সে সম্পর্কে অবহিত করেন।
জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইতালি, কাতার, জাপান, চীন, রাশিয়া, জার্মানি এবং ফ্রান্সের সিনিয়র কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এই বৈঠকে জি-২০ দেশগুলির রাষ্ট্রদূতদের, যাদের মধ্যে চীন ও কানাডার প্রতিনিধিরাও ছিলেন। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণার পর এই কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু করা হয়।
অন্যদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায়, ভারত সরকার তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা পরিষেবা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

No comments