যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনপন্থি বিক্ষোভ

হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওভালকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্র্র্র্র ইউক্রেনপন্থি ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শত শত মানুষ নিউ ইয়র্ক, লস অ্যানজেলেস ও বস্টনে জড়ো হয়ে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।  ভারমন্টের ওয়েটসফিল্ডের এক সড়কে ইউক্রেনপন্থি প্রতীক, ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন অনেকে। উল্লেখ্য, তখন স্কি খেলার ছুটি উদ্‌যাপনের জন্য সপরিবারে ওয়েটসফিল্ড পরিদর্শন করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া জানায়, বিক্ষোভের কারণে ভ্যান্স স্কি রিসোর্টে না গিয়ে পরিবার নিয়ে অন্যত্র যান। যদিও জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্প ও ভ্যান্সের বাকবিতণ্ডার পূর্বেই ওয়েটসফিল্ডে ট্রাম্প ও ভ্যান্স প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়। ভারমন্ট পাবলিক রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিক্ষোভকারী গ্রুপের সদস্য জুডি ড্যালি বলেন, আমার মনে হয় শুক্রবারে ওভাল অফিসকাণ্ডের পর আরও বেশি মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। কোরি গিরোক্স নামে অন্য বিক্ষোভকারী বলেন, ভ্যান্স সীমা অতিক্রম করেছেন। এদিকে ভ্যান্সের সপরিবারে সফরের বিষয়টি বিবেচনা করে ভারমন্টের গভর্নর ফিল স্কট জনগণকে ভাইস প্রেসিডেন্টের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অনুরোধ করেন। ট্রাম্পকে ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানানো রিপাবলিকান গভর্নর স্কট বলেন, আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারকে ভারমন্টে স্বাগত জানাই। আশা করি তারা এখানে ছুটির দিন উপভোগ করবেন। তিনি আরও বলেন, এটি মোটেও আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, তিনি ছুটি কাটানোর জন্য ভারমন্টকে বেছে নিয়েছেন। স্কট বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট এখানে তার পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে এসেছেন। তার সঙ্গে আমাদের মতের মিল না হলেও আমাদের উচিত তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। এসময় স্কট তাদেরকে স্বাগত জানানোর জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। তবে বিক্ষোভের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি ভ্যান্স। ওয়েটসফিল্ডে অবশ্য ট্রাম্প ও ভ্যান্সের সমর্থকদেরও দেখা গিয়েছে। শনিবার যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে টেসলার শোরুমের সামনেও দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের। সরকারি ব্যয় হ্রাসে ধনকুবের ইলন মাস্কের গৃহীত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন তারা। মাস্ককে  ফেডারেল ব্যয় সংকোচনের উদ্দেশ্যে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডজ) তদারকির দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প। শুক্রবার ওভাল অফিসে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে জেলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে বলেন ট্রাম্প। এমন না করলে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ট্রাম্প এক পর্যায়ে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধকালীন যুক্তরাষ্ট্র্র থেকে সামরিক ও রাজনৈতিক সমর্থন পেয়েও কৃতজ্ঞ নন জেলেনস্কি। এ ছাড়া জেলেনস্কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে ‘জুয়া’ খেলছেন বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ভ্যান্সও অবশ্য ইউক্রেনের  প্রেসিডেন্টকে মিডিয়ার সামনে ‘অসম্মানজনক’ আচরণ করার অভিযোগ আনেন। ওদিকে রোববার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপিয়ান এক সামিটে যোগ দেয়ার কথা জেলেনস্কির। এই সামিট আহ্বান করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার। ইউরোপিয়ান এই সামিটের আগে লন্ডনে বৃটিশ চ্যান্সেলর র‌্যাচেল রিভস ইউক্রেনের সঙ্গে ২৮৪ কোটি ডলারের একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেন। ভবিষ্যতে সামরিক সহায়তা এবং ইউক্রেনকে পুনর্গঠনে এই ঋণ দেয়ার কথা।
mzamin

No comments

Powered by Blogger.