মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ চান না ট্রাম্প, সই করলেন নির্বাহী আদেশে
এতে বলা হয়, বুধবার স্বাক্ষরিত নির্বাহী ওই আদেশে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলায় অংশ নেয়া মেয়েদের জন্য লকার কক্ষে ট্রান্স নারীদের ঢুকতে অনুমতি দেয়া হয় তাদের ফেডারেল সরকারের তহবিল বন্ধ করে দেয়া হবে। এই আদেশের আলোকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে ‘নারী ক্রীড়াবিদদের সর্বোত্তম নিরাপত্তা নীতি’ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপটি প্রচারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা গ্রহণকারী প্রতিটি স্কুলে নোটিশ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমরা অর্থ সহায়তা গ্রহণকারী প্রতিটি স্কুলে নোটিশ দিচ্ছি: যদি তারা পুরুষদের নারী ক্রীড়া দল দখল করতে দেন বা নারীদের লকার কক্ষে আক্রমণ করতে দেন- তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯ লঙ্ঘনের জন্য তদন্ত করা হবে। এছাড়া তাদের তহবিল ঝুঁকির মুখে পড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প যেই আইনের কথা উল্লেখ করেছেন সেটি ১৯৭২ সালে প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাঙ্গনে লিঙ্গ বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
‘নারী ক্রীড়াবিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ শেষ করার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, পুরুষরা নারী ক্রীড়াবিদদের মারধর করবে সেজন্য তার প্রশাসন চুপ করে বসে থাকবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা এটা হতে দেব না এবং এটা শেষ হতে যাচ্ছে। এখনই এ বিষয়টি শেষ হচ্ছে। কেউই এ বিষয়ে আর কিছুই করতে পারবে না, কেননা আমি যখন বলি তা কর্তৃত্ব নিয়েই বলি।
মেয়েদের খেলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে চাপ দেবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। যাতে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ২০২৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আগেই লিঙ্গভিত্তিক অংশগ্রহণ স্পষ্টভাবে সমর্থন করা যায়। অলিম্পিক কমিটি খেলাধুলায় ট্রান্স নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বাইআউটের প্রস্তাব ট্রাম্পের
এবার মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ফেডারেল কর্মীদের এই প্রস্তাব দিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েন তিনি। তবে তা উপেক্ষা করে এবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সহ আরও চারটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ বা বাইআউটের অফার দিয়েছেন ট্রাম্প। এই সংস্কারের নেতৃত্বে রয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। এতে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে জনগণের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মাস্কের বিরুদ্ধে সরকারকে দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, যে চারটি অতিরিক্ত সংস্থার কর্মীদের এই স্বেচ্ছা পদত্যাগের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- ইউএস অফিস অফ দ্য ডাইরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স, ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি, ন্যাশনাল জিওস্পেশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি এবং দ্য ন্যাশনাল রিকনাস্যান্স অফিস। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কর্মকর্তার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ঠিক কতজন কর্মকর্তাকে এ প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে প্রায় ১৯ হাজার ৫০০ কর্মকর্তা রয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, তাদের কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সংস্থাগুলোর নতুন পরিচালক র্যাটক্লিফের লক্ষ্যের সঙ্গে সামাঞ্জস্য রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বাইআউট অফার দিলেন ট্রাম্প।

No comments