যুদ্ধের সময় অপহৃত শিশু বিনিময়ের উদ্যোগ রাশিয়া-ইউক্রেনের
এতে বলা হয়, আরআইএ-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রুশ কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভা বলেছেন, আমাদের কাছে প্রেসিডেন্টের স্পষ্ট আদেশ রয়েছে যে আমরা কেবল আইনি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কাজ করি। অর্থাৎ আত্মীয়স্বজন, বাবা-মায়ের আইনি ভিত্তি রয়েছে। তারাই তাদের সন্তানদের যত্ন নিতে পারেন। তিনি আরও বলেন, এসব চ্যানেলের মাধ্যমে এই মুহূর্তে ৯৫ জন শিশুকে ইউক্রেনে তাদের আত্মীয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ায় তাদের পরিবারের কাছে ফিরেছে ১৭ জন শিশু।
২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার শিশু বিনিময়ের আয়োজন করেছে মস্কো ও কিয়েভ। ইউক্রেনের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত এক হাজার ২৭৭ জন শিশুকে ফেরত এনেছে কিয়েভ। যার মধ্যে বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইউক্রেনের দাবি এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৫০০ জন শিশুকে যুদ্ধকালীন সময়ে বা পরিবারের অজান্তে অধিকৃত অঞ্চলে নিয়ে গেছে রাশিয়া। তারা এই অপহরণকে যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেছে। জাতিসংঘের চুক্তি অনুযায়ী শিশু অপহরণের ঘটনা গণহত্যার সংজ্ঞাকে পূর্ণ করে। তবে রাশিয়ার দাবি তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দুর্বল শিশুদের সুরক্ষা দিতেই তাদের সরিয়ে নিয়েছে।
২০২৩ সালের মার্চে লভোভা-বেভোভা ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। তবে এই অভিযোগকে অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য বলে প্রত্যাখান করেছে রাশিয়া।

No comments