যুক্তরাষ্ট্রের বিপদে শঙ্কিত কানাডা
দেশটির সরকারের একটি থিংক ট্যাংকের ধারণা, বড় বিপদ ঘনিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্ভাব্য এই বিপদ দেখে জাস্টিন ট্রুডোর সরকারকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে ওই থিংক ট্যাংক।
বিপদ যখন আসে তখন চারদিক থেকে আসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। এক মামলায় ছেলে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। আবার সামনে নির্বাচনেও নিজের অবস্থান অনেকটা নড়বড়ে।
এবার প্রতিবেশী দেশের একটি থিংক ট্যাংক বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশের ঝড়ের মেঘ জমেছে। সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক মতামত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
থিংক ট্যাংক পলিসি হরাইজন কানাডা ‘ডিসরাপশন অন দ্য হরাইজন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ বাঁধতে পারে। আর এ জন্য অটোয়ার সম্ভাব্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
তারা বলছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ হতে পারে। ৩৭ পৃষ্ঠার ওই নথি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতাদর্শগত বিভাজন, গণতন্ত্রের ক্ষয় এবং অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ায় গৃহযুদ্ধে পতিত হতে পারে দেশটি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে কম ভবিষ্যতবাণী করা হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত মার্কিনিরাই নিজ দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে।
কিন্তু পলিসি হরাইজনের প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের যে ধরনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তা দেশটির রাজনীতি নিয়ে কানাডার গভীর উদ্বেগের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ হবে এটার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদি এমনটা ঘটে, তাহলে তা হবে খুবই প্রভাব বিস্তারকারী একটি ঘটনা।
আসলে ট্রাম্পের সময়কালে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিল। তখন কানাডার সঙ্গে কয়েক দশকের পুরোনো সম্পর্কে ছেদ পড়েছিল।
আবার কানাডার প্রতি ট্রাম্পের নীতি এবং ব্যক্তিগত আচরণ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে অটোয়া মনোভাব বদলে দিয়েছে। বিশেষ করে কিউবেকে জি-সেভেনের বিগত সম্মেলনে ট্রুডোকে রীতিমতো ধুঁয়ে দেন ট্রাম্প, যা অটোয়ার কর্মকর্তাদের গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে।
নিকট অতীতে নিজ দেশেই গৃহযুদ্ধের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে কানাডার, সেটিও সুখকর নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে যদি এমন কিছু সত্যিই ঘটে তাহলে কানাডার চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
কেননা, কানাডার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। অটোয়ার কাজও এটা নয়। তবে প্রতিবেশী দেশে ঝড় হলে তার প্রভাব কিছু হলেও কানাডার ওপর পড়বে। আর সেই শঙ্কাতেই আছে অটোয়া।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি : সংগৃহীত |
No comments