স্বামী না নরপিশাচ! স্ত্রীকে ভোগ করাতো অন্য পুরুষ দিয়ে

ফরাসি এক ব্যক্তি প্রতি রাতে তার স্ত্রীর ওপর মাদক ব্যবহার করতো। এরপর অন্য পুরুষদের আমন্ত্রণ জানাতো তার স্ত্রীকে ধর্ষণে। এমনিভাবে ১০ বছর ধরে তার ওপর নরপিশাচের মতো আচরণ করেছে তার স্বামী ও ওই মানুষ নামের অমানুষগুলো। অনলাইন দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হতাশাজনক এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, তদন্তে দেখা গেছে ১০ বছরে ওই নারীকে এভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে কমপক্ষে ৯২ বার। এতে জড়িত ২৬ থেকে ৭৩ বছর বয়সী ৫১ নরপিশাচকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। পুলিশ অন্যদের খুঁজছে। ধর্ষকদের মধ্যে আছে একজন অগ্নিনির্বাপণকর্মী, একজন লরি চালক, মিউনিসিপ্যালিটির একজন কাউন্সিলর, একটি ব্যাংকের আইটিকর্মী, জেলখানার প্রহরী, হাসপাতালের একজন সেবক ও একজন সাংবাদিক।
ফরাসি ওই ব্যক্তিকে দ্য টেলিগ্রাফ ডমিনিক পি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। সে হতাশাবিরোধী ওষুধ লোরাজিপাম প্রয়োগ করতো তার স্ত্রীর খাবারে। এরপর তিনি গভীর ঘুমে চলে যাওয়ার পর তার ওপর চলতো নারকীয়তা। ফ্রান্সের মাজানে অবস্থিত তার বাড়িতে কথিত ওইসব ‘অতিথি’কে আমন্ত্রণ জানাতো তার স্বামী। ওই নরপিশাচরা যখন এই ঘুমন্ত নারীর শরীরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতো, তখন সেই দৃশ্য ভিডিওতে রেকর্ড করতো স্বামী নামের ওই জানোয়ার। রেকর্ড করে সে এসব দৃশ্য ধারণ করে রাখতো ইউএসবি ড্রাইভে। সেখানে একটি ফোল্ডার করেছিল। এর নাম দিয়েছিল ‘অ্যাবিউসেস’। তার ভিতরে জমা করে রাখতো এসব ফাইল। এখন তা পুলিশের হাতে রয়েছে। পুলিশ বলেছে, এসব ঘটনা ঘটেছে ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। উল্লেখ্য, ফ্রাঁসোয়া নামের ওই নারীর সঙ্গে কমপক্ষে ৫০ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ডমিনিক। এই যুগল তিনটি সন্তানের পিতামাতা।

 

No comments

Powered by Blogger.