নিষিদ্ধপল্লীতে সেক্স রোবট!

প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে মানুষের জীবনাচরণ। গৃহস্থালি থেকে শুরু করে জটিল অপারেশন সব জায়গায় ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে রোবট। তাদেরকে দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জটিল কাজকে সহজ করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষের যে জৈবিক চাহিদা সেখানেও রোবট! হ্যাঁ, এ ধারা শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। সেক্স ডল বা রোবট নারী মানুষের একাকীত্বকে দূর করছে। ফলে বহু পুরুষ নারীর ওপর নির্ভর না করে বেছে নিচ্ছেন এসব রোবট নারী। এ নিয়ে মাঝেমাঝেই বিতর্ক শোনা যায়, মানুষের সন্তান জন্মদান ছাড়া ভবিষ্যতে হয়তো নারীতে-পুরুষে যৌন সম্পর্ক হারিয়ে যাবে।
কারণ, মানুষ যেভাবে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে তাতে তার মধ্যে যে বিষন্নতা কাজ করবে, বিরক্তি কাজ করবে, সময়ের অভাব দেখা দেবে বা দিচ্ছে, তাতে শারীরিক সম্পর্ক হারিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছাবে এক সময়। বিভিন্ন জরিপেও এমনটা আভাষ মিলেছে। এমন অবস্থায় মানুষকে রোবট নারী বা সেক্স রোবটের ওপর নির্ভর করতে হবে। পশ্চিমা অনেক দেশে গড়ে উঠেছে রোবটের পতিতালয়। যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদায় এমনই এক পতিতালয়ে রোবটের ব্যবহার হচ্ছে। নেভাদার পতিতালয় এমনিতেই পরিচিত। সেখানে বিশ্বের  বিভিন্ন প্রান্তের পুরুষ বা নারী ছুটে যান।
নেভাদার ‘এলিয়েন ক্যাটহাউজ’ সব সময়ই এই বিশ্বের বাইরের এমন এক প্রস্তাব তুলে ধরে তার খদ্দেরদের। এবার সেখানে যুক্ত হয়েছে ইউএফও-থিমের পতিতালয়। এর ফলে খদ্দেররা মানবীয় সাহচর্য্যরে পাশাপাশি পাবেন সেক্স রোবটের স্পর্শ, সঙ্গ। এ প্রসঙ্গে ক্যাটহাইজের রড থম্পসন বলেছেন, অনেক খদ্দের আছেন তারা নারীর স্পর্শের প্রতি আগ্রহী নন। এসব খদ্দেরের মনের যাতনা মেটাতে পারে এসব রোবট। ফলে দু’ রকমের সুবিধা থাকবে এখানে। এলিয়েন ক্যাটহাউজের অনেক খদ্দের আসেন তারা পর্নো তারকাদের সঙ্গী হতে চান। তাই আমরা এসব রোবট প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। তাছাড়া এখানে যেসব নারী আছেন, তারাও খুব উৎসাহিত। কারণ, তারা মনে করেন এখানে শুধু নারী-পুরুষে প্রতিযোগিতা নয়। প্রতিযোগিতা হবে এমন একটি প্রতিযোগীর সঙ্গে যারা স্বাভাবিক নয়।

No comments

Powered by Blogger.