বলাৎকারের অভিযোগে ক্যাথলিক ধর্মযাজক গ্রেপ্তার ভারতে

বালকদের বলাৎকারের অভিযোগে ভারতের কেরালায় এক ক্যাথলিক ধর্মযাজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেরালার এরনাকুলাম জেলায় একটি বয়েজ হোমে সংখ্যালঘু বালকদের ওই যাজক ধারাবাহিকভাবে যৌন নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। এর ফলে বেশ কয়েকজন বালক পালিয়েছে। তাদের অনেকে পিতামাতাকে জানিয়েছে বিষয়টি। ঘটনা যখন ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠে তখন রোববার সকালে ওই যাজককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
এতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ওই বয়েজ হোমে বালকদের ধারাবাহিকভাবে যৌন নির্যাতন করছিলেন ওই যাজক। পুলিশ বলেছে, ওই যাজকের মোবাইল ফোনভর্তি আপত্তিকর সব ম্যাসেজ, ছবি ও পর্নো ওয়েবসাইটে।
তবে তার নাম, পরিচয় প্রকাশ করা হয় নি। এ ঘটনায় বালকদের ওই আবাসন থেকে শনিবার পালিয়ে যায় ১০ জন। তারা তাদের পিতামাতাকে খবর দেয়। তাদেরকে জানায়। দিনশেষে রাতেই পিতামাতাকে সঙ্গে নিয়ে তারা ছুটে যায় পুলিশ স্টেশনে। সেখানেই ওই যাজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় তারা। রাত শেষে রোববার সকালে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে। পাঠানো হয়েছে ১৪ দিনের রিমান্ডে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এতে শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের কঠোর আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী বালকরা অভিযোগ করেছে যে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে তাদের বিরুদ্ধে বার বার ভয়াবহ পদ্ধতিতে যৌন নির্যাতন করতেন তিনি। কিছু বালককে সঙ্গে নিয়ে ঘুমানোর সময় তিনি এমন আপত্তিকর আচরণ করতেন। এ পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করেছে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি। বালকদেরকে তাদের পিতামাতার সঙ্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বাড়িতে। তারা খুব গরিব পরিবারের সন্তান। তবে আরো প্রায় ৭ জন বালক ওই বয়েজ হোমে অবস্থান করছে। তারা বলেছে, তাদের কোনো অভিযোগ নেই। তাদের পিতামাতাকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলেছে, এসব বালকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব এখন তাদের পিতামাতার।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক চার্চে যৌন নির্যাতনের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক স্ক্যান্ডালে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় পোপ ফ্রাঁসিস মে মাসে একটি নতুন আইন পাস করেন। তাতে বলা হয়, ক্যাথলিক চার্চে কোনো যৌন নির্যাতনের বিষয় কেউ যদি জেনে থাকেন তাহলে তিনি যেন তা ঊর্ধ্বতনদের অবহিত করেন।

No comments

Powered by Blogger.