ইরানে ভূপাতিত মার্কিন চালকহীন বিমানের গোয়েন্দা সক্ষমতা

ইরানে অনুপ্রবেশের পর ভূপাতিত মার্কিন আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক চালকহীন বিমান দিনে ৪০ হাজার বর্গ মাইল বা এক লাগ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ডের ওপর গোয়েন্দা তৎপরতা চালাতে পারে। অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়া বা আয়ারল্যান্ডের মতো দেশের ওপর পুরোপুরি গোয়েন্দা তৎপরতা একটি মাত্র দিনেই সম্পন্ন করতে পারবে।
টানা ত্রিশ ঘণ্টার বেশি ঊর্ধ্বাকাশে থাকার সক্ষমতা রয়েছে আরকিউ-৪ গ্লোবাল হকের। যে কোনও ধরণের আবহাওয়ায় এটি তৎপরতা চালাতে পারে বলে নির্মাতা সংস্থা নর্থরোপ গ্রুমম্যানের ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে। লকহিডের তৈরি ইউ-২ গোয়েন্দা বিমান দিয়ে যে সব তৎপরতা চালানো যায় তার সবই আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক দিয়ে চালানো সম্ভব। চালকহীন এ গোয়েন্দা বিমান পরিচালনা করে মার্কিন বিমান বাহিনী বা ইউএসএএফ।
২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে এটি পরিচালনার ব্যয় ৫০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে। ২০১০ সালে এটি প্রতিঘণ্টা উড্ডয়ন পরিচালনায় ১৮৯০০ ডলার সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হতো। কিন্তু ২০১৩ সালে তা ঘণ্টা প্রতি ১১ হাজার ডলারে নেমে আসে। এ চালকহীন বিমান ১৩৬০ কেজি ওজন বহন করতে পারে। একে পেলোড হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে ইরানের হাতে ভূপাতিত ড্রোনটি আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক নয়। বরং এমকিউ-৪সি ট্রাইটন। তবে মার্কিন নৌবাহিনীর ব্যবহৃত এমকিউ-৪সি ট্রাইটন চালকহীন ড্রোনটি তৈরি হয়েছে আরকিউ-৪এর ওপর ভিত্তি করে। সক্ষমতার দিক থেকে এটি আরকিউ-৪'এর'ই অনুরূপ।
এমকিউ-৪সি ট্রাইটন

No comments

Powered by Blogger.