গানের রাজা ’১৯ হলো লাবিবা

এসিআই এক্সট্রা ফান কেক-চ্যানেল আই গানের রাজা ’১৯ হয়েছে খুলনার মেয়ে ফাইরুজ লাবিবা। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আলো ঝলমল মঞ্চের মহোৎসবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। মহোৎসবে অতিথি বিচারকের আসনে ছিলেন উপমহাদেশের খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। তিনি ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে...’ গানটি গেয়ে বিচারকের আসনে বসেন। এ মহোৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশ খুঁজে পেলো দেশসেরা ‘গানের রাজা’। পুরস্কার হিসেবে ‘গানের রাজা’কে দেয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নেত্রকোনার মো. শফিকুল ইসলাম পেয়েছে ৩ লাখ টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী ময়মনসিংহের সিঁথি সরকার পেয়েছে ২ লাখ টাকা। এদের প্রত্যেকের  জন্যই ছিলো আরো আকর্ষণীয় পুরস্কার।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রুনা লায়লা, এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আলমগীর, এসিআই ফুডস্ লিমিটেডের পরিচালক ফারিয়া ইয়াসমিন, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, ইমপ্রেস গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মজুমদার এবং ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য মুকিত মজুমদার বাবু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এ প্রতিযোগিতার প্রধান দুই বিচারক চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠখ্যাত কোনাল ও ইমরান। অনুষ্ঠানের শুরুতে কবিতা আবৃত্তি করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি। এরপর তিনি শিশু ও নারী নির্যাতন বন্ধে দেশের সকল মানুষের প্রতি আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের বিদায়ের পর তারাই আমাদের হাল ধরবে। স্বাগত বক্তব্যে ফরিদুর রেজা সাগর এবং সৈয়দ আলমগীর একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে দেশের সকলের প্রতি আহবান জানান শিশু ও নারী নির্যাতন বন্ধের।
শীর্ষ ৫ প্রতিযোগী লরা, লাবিবা, শফিকুল, পনি চাকমা এবং সিঁথির সঙ্গে গান করেছেন যথাক্রমে আগুন, এস আই টুটুল, ডলি সায়ন্তনী, তপু এবং তপন চৌধুরী। সিনিয়রদের সঙ্গে শিশুদের গান শোনার এক পর্যায়ে সিঁথি সরকারের গান শুনে রুনা লায়লা বলেন, আমার সুরে একটি গান আমি তোমাকে দিয়ে গাওয়াবো। সিঁথি গেয়েছিল তপন চৌধুরীর সঙ্গে ‘তুমি আমার প্রথম সকাল...’ গানটি। এরপর একঝাঁক সহশিল্পীর সঙ্গে একক পারফরমেন্স করেন পরীমনি এবং জুটি বেঁধে পারফর্ম করেন পূর্ণিমা ও রোশান।
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘এসিআই এক্সট্রা ফান কেক-চ্যানেল আই-গানের রাজা, পাওয়ার্ড বাই এসিআই পিওর স্পাইসেস’ অনুষ্ঠানটি টিআরপি রিপোর্টের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের সকল টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল। ইউটিউব ও ফেসবুকে নিয়মিত লাখ লাখ দর্শক অনুষ্ঠানটি দেখে প্রসংশা করেছেন। মহোৎসব উপস্থাপনা করেছেন লাক্স-চ্যানেল আই তারকা মুমতাহিনা টয়া ও শিশুশিল্পী সাহির। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন তাহের শিপন। মহোৎসব অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ তথা বিশ্বব্যাপী চ্যানেল আই-এর পর্দায় ঐদিন রাত ৭টা ৪০ মিনিট থেকে সরাসরি উপভোগ করেছেন দর্শকরা।
উল্লেখ্য, গত ৬ মাস আগে সারাদেশ থেকে ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সী ৫ হাজারের বেশি কোমলমতি শিশু অংশ নিয়েছিল নিবন্ধনে। তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৫৪ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে বিভিন্ন গ্রুমিং এবং তালিমের প্রক্রিয়া শেষে ৪০টি সফল পর্বের সম্প্রচার হয় চ্যানেল আইতে। সেখান থেকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য বিচারকরা নির্বাচন করে শীর্ষ ৫ প্রতিযোগীকে। তারা হলো মেফতাহুর জান্নাত লরা (চাপাইনবাবগঞ্জ), ফাইরুজ লাবিবা (খুলনা), মো. শফিকুল ইসলাম (নেত্রকোনা), পনি চাকমা (রাঙামাটি) এবং সিঁথি সরকার (ময়মনসিংহ)।

No comments

Powered by Blogger.