সুলতানেই আস্থা by ইমাদ উদ দীন

কুলাউড়াবাসীর আস্থা ছিল তার ওপর। ভোটারদের মনও জয় করতে পেরেছিলেন জনতার সুলতান। তাই ভোটের মাঠে শত প্রতিকূলতা তার বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। মানুষের ভালোবাসায় শেষ বিজয়ের হাসিটা প্রাপ্য হয়ে গেল তার। ডাকসুর সাবেক ভিপি,  কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদও তার এ বিজয়কে উৎসর্গ করলেন নিজ জন্ম মাটির প্রিয়জনদের প্রতি। যারা তাকে আপন করে কাছে টেনেছেন, ভালোবেসেছেন আর ভোট যুদ্ধে বিজয়ী করেছেন। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ’র নির্বাচনী মাঠ ছিল কণ্টকাকীর্ণ। ভোটের আগের রাত পর্যন্ত তার কর্মী-সমর্থক ও অনুসারীরা সাজানো মিথ্যা মামলা আর গায়েবি মামলায় ছিলেন বাড়ি-ঘর ছাড়া।
আর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কতেক অতিউৎসাহী কর্মকর্তাদের বিরূপ আচরণও ছিল লক্ষণীয়। চলমান এমন অবস্থায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠার শেষ ছিল না স্থানীয় ভোটারদের। ভোটের মাঠে এমন নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে তিনি এ বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হন। ভোটের দিন বিকাল ৪টার পর থেকে ভোট গণনা শুরু হলে তার ফলাফল জানতে উদগ্রীব ছিলেন স্থানীয় ভোটারদের পাশাপাশি পুরো জেলা ও সিলেট বিভাগের দলমত নির্বিশেষে নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষ। তারা মুঠোফোনে একাধিকবার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে ফলাফলের খোঁজ খবর জানতে চেয়েছেন। কারণ তিনি নিজ জেলাসহ পুরো সিলেট বিভাগের মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন তার ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক আদর্শ দিয়ে। প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত সিলেট বিভাগের লোকজনও তাকে সিলেটের রাজনীতির মাঠের ‘ম্যারাডোনা’ উপাধিতে ভূষিত করেছে অনেক আগেই। তিনিও তাদের এমন ভালোবাসার প্রতিদান রক্ষা করেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখন পূর্বসূরীদের দেখানো আর্দশ থেকে একটুকুও বিচ্যুত হননি। এমন ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক গুণাবলীর কারণেই সর্বশ্রেণীর মানুষের কাছে রয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা। যার প্রমাণ মেলে এই ভোটে। কুলাউড়া উপজেলা ইলেকশন কন্ট্রোল রুমে মৌলভীবাজর-২ সংসদীয় আসনের মোট ৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে একের পর এক  কেন্দ্রের ফলাফল আসতে শুরু করে। ব্যবধানের দিক থেকে এগিয়ে থাকায় প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফলে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হন তার কর্মী-সমর্থক ও অনুসারীরা। তখন তাদের নানা স্লোগানে মুখরিত হয় তার নির্বাচনের বিভিন্ন এলাকা। দেশবাসীর সুলতান কুলাউড়ার সুলতান। সুলতান ভাই-ভয় নাই আমরা তোমায় ভুলি নাই। সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, সুলতান মনসুর একজন। বাগান এলাকার ভোট ছাড়া অন্য এলাকার ভোট তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চাইতে অনেক বেশি ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। এই সংসদীয় আসনে মোট ভোট ২,৪১,১০৮টি। ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক ডাকসু ভিপি জাতীয় নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ পান ৭৯,৭৮২ ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক এমপি এমএম শাহীন পান ৭৭,১৪৭। তার বিজয়ে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় জনগণের সরল উক্তি সৎ যোগ্য ও আর্দশিক মানুষকে বিজয়ী করতে পেরে আমরা তৃপ্ত।

No comments

Powered by Blogger.