গ্যাবনে অভ্যুত্থান চেষ্টা ভন্ডুলের দাবি সরকারের

আফ্রিকার দেশ গ্যাবনে একটি সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টা ভন্ডুল করে দেয়ার দাবি করেছে সরকার। তারা বলেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সোমবার সকালে সেনাবাহিনী অকস্মাৎ রাষ্ট্রীয় রেডিও অফিসে প্রবেশ করে এবং জনগণকে জেগে উঠার আহ্বান জানায়। এ সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো ছিলেন দেশের বাইরে। এ ছাড়া লিব্রেভিলেতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয়ে গুলির শব্দ শোনা গেছে। যখন রেডিওতে জনগণের প্রতি ওই আহ্বান জানানো হয়, ঠিক একই সময়ে টেলিভিশন সদর দফতরে শুলির শব্দ শোনা গেছে। বিভিন্ন সড়কে অবস্থিত সরকারি অফিসগুলোতে যাওয়ার পথে সামরিক যান রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর মরস্কোর রাজধানী রাবাত-এ একটি ব্যক্তিগত বাসভবনে অবস্থান করছিলেন।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও বার্তা সংস্থা এএফপি। এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে সরকার বলেছে, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারের মুখপাত্র গাউ বারট্রান্ড মাপাঙ্গোউ বলেছেন, কর্তৃপক্ষ বিদ্রোহী সেনাদের চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অন্য একজন পলাতক রয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর জুনিয়র কর্মকর্তারা দাবি করছেন তারা গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা করার জন্য ক্ষমতা দখল করেছে। তার দাবি, রাজধানী লিব্রেভিলের রাজপথে এখন আর কোনো ট্যাংক বা সাজোয়া যান নেই। বিবিসি লিখেছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে জাতীয় রেডিও স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সেনারা। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত একটি ঘোষণা পড়ে শোনান। ‘ন্যাশনাল রিস্টোরেশন কাউন্সিল’-এর পক্ষ থেকে ওই ঘোষণা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গ্যাবনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো তার পিতা ওমর বঙ্গোর কাছ থেকে ২০০৯ সালে ক্ষমতা পান। ২০১৬ সালে নতুন নির্বাচন হয়। তাতে খুব সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন আলী বঙ্গো। তবে ওই নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা ও কারচুপির অভিযোগ আছে।
গ্যাবন থেকে বিবিসির সাংবাদিক ফিরমেইন এরিক মবাডিঙ্গা বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা একটি বিরাট বিস্ময়কর ঘটনা। কারণ, এ দেশটিতে সেনাবাহিনীকে দেখা হয় বঙ্গো পরিবারের প্রতি খুবই আনুগত্যপূর্ণ হিসেবে।

No comments

Powered by Blogger.