কঙ্গোতে শিসেকেদিই প্রেসিডেন্ট-আদালতের রায়

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দলীয় প্রার্থী ফেলিক্স শিসেকেদির বিজয়ের পক্ষে রায় দিয়েছে কঙ্গের সাংবিধানিক আদালত। গত ৩০ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। এ বিজয়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন আরেক বিরোধী দলীয় প্রার্থী মার্টিন ফায়ুলু। কিন্তু সেই আপিল প্রত্যাখ্যান করেছে আদালত। মার্টিন ফায়ুলুর যুক্তি ছিল যে, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি করেছেন ফেলিক্স শিসেকেদি। এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ফেলিক্স শিসেকেদির টিম। ওদিকে সাংবিধানিক আদালত ফেলিক্স শিসেকেদিকে বিজয়ী ঘোষণা করে রায় বহাল রাখলেও মার্টিন ফায়ুলু দাবি করেছেন তিনিই কঙ্গোর বৈধ প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি তিনি নির্বাচনের সরকারি ফলকে স্বীকৃতি না দিতে আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি।
ওদিকে শুক্রবার নির্বাচনের ফল নিয়ে ‘মারাত্মক সংশয়’ আছে বলে শুক্রবার মন্তব্য করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন।
আদালত যা বলেছে
আদালত বলেছে, নির্বাচন কমিশন যে মিথ্যা ফল ঘোষণা করেছে তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন মার্টিন ফায়ুলু। তাই ফেলিক্স শিসেকেদি হলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট।
এখন ১০ দিনের মধ্যে তার শপথ নেয়ার কথা রয়েছে। কঙ্গোতে একজন নেতার কাছ থেকে অন্য একজনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সব সময় সহিংসতা দেখা দেয়। তবে ১৯৬০ সালে বেলজিয়ামের কাছ থেকে দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর এবারই সরকারি ফলাফলে প্রথমবারের মতো একটি সুশৃংখল ক্ষমতা হস্তান্তর হতে যাচ্ছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে যে, মার্টিন শিসেকেদি পেয়েছেন শতকরা ৩৮.৫ ভাগ ভোট। আর মার্টিন ফায়ুলু পেয়েছেন ৩৪.৭ ভাগ ভোট। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী ইমানুয়েল শেডারি পেয়েছেন শতকরা ২৩.৮ ভাগ ভোট। কঙ্গোতে ১৮ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন জোসেফ কাবিলা। মার্টিন ফায়ুলুর অভিযোগ তার সঙ্গে চুক্তি করেছেন শিসেকেদি। কারণ, সাংবিধানিকভাবে তৃতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য জোসেফ কাবিলা। দুই বছর আগেই সেখানে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে বার বার তা স্থগিত হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.