শিক্ষাগুরুর মর্যাদায় সবার আগে চীন

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি  সম্মানিত  চীনের শিক্ষকরা। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন মালয়েশিয়ার শিক্ষকরা। অনলাইন চায়না ডেইলিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে ভারকি ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান একটি সূচক প্রকাশ করেছে। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য গ্লোবাল টিচার স্ট্যাটাস ইনডেক্স ২০১৮’। বিশ্বে শিক্ষকদের প্রতি সম্মান দেখানোর বিষয়ে এটিই সবচেয়ে বৃহৎ পরিসরের জরিপ। চীন সহ অন্য ১৪টি দেশে এ বিষয়ে জনমত নেয়া হয়।
তাতে দেখা যায়, চীনের মূল ভূখন্ডে শিক্ষকদের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি।
চীনে জরিপে অংশগ্রহণকারী শতকরা ৮১ ভাগ মানুষ বলেছেন, সেখানে শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করেন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে বৈশ্বিক গড় হলো শতকরা ৩৬ ভাগ। ভারকি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিকাশ পোটা বলেছেন, গ্লোবাল টিচার স্ট্যাটাস ইনডেক্স চালু করা হয় ২০১৩ সালে। তার পাঁচ বছর পরে এসে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আবারও এক্ষেত্রে চীন সবার উপরে। এতে প্রমাণ হয়ে গেছে চীনারা কি পরিমাণে শ্রদ্ধা করেন তাদের শিক্ষকদের। এই জরিপে প্রথম শিক্ষকের মর্যাদা ও শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
ওই জরিপ বা গবেষণায় দেখা গেছে ইউরোপ বা লাতিন আমেরিকায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে মর্যাদার স্তর এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে কম। আর ব্রাজিল এই তালিকায় সবচেয়ে নীচে অবস্থান করে। এই গবেষণায় আরো দেখা গছে যে, প্রায় অর্ধেক সংখ্যক চীনা পরিবারগুলোই তাদের সন্তানদের শিক্ষক হবার জন্য অণুপ্রাণিত করে। এছাড়া চীন, রাশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় শিক্ষকের পরেই চিকিতৎসের অবস্থান রয়েছে। তাদের মতে শিক্ষক এবং চিকিৎসক উভয়ের পেশাই কাছাকাছি।
তবে চীনের মূল ভ’খন্ডের শিক্ষকরা লোকে যতটা ভাবে তার থেকে কম রোজগার করেন। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ধারণা চীনে একজন মাধ্যমিক স্কুলের একজন শিক্ষক ১৯ হাজার ডলার রোজগার করেন। তবে বাস্তবতা হল তারা ১২ হাজার ডলার ইনকাম করেন। তবে তারা বলছেন যে, মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন শিক্ষকের বেতন ২১ হাজার হওয়া উচিত।  শিক্ষকদের অবস্থার উন্নতি করা হলে ভালো শিক্ষকরা এই পেশার উপ্র আকৃষ্ট হবে এবং তাদেরকে এই পেশায় ধরে রাখতে সহায়তা করবে। কেননা শিক্ষকরাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতের হাল  ধরবে।

No comments

Powered by Blogger.