ফুরিয়ে গেছে গাঁজার স্টক, হাহাকার

কানাডাতে গাঁজা বৈধ হয়েছে। ১৭ অক্টোবর বৈধ ঘোষণার পর সেখানে উৎসব চলছে। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই গাঁজার স্টক ফুরিয়ে গেছে।   মানুষ হন্য হয়ে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে গাঁজা খুঁজছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গাঁজার যে এত চাহিদা থাকবে তা তারা বুঝতে পারেনি। গাঁজা বৈধ হবার পর পরিবারের সবাই মিলে গাঁজা কিনছে। দোকানীরা জানিয়েছেন, অল্প কয়েকদিনের মধ্যে এই অভাব আর থাকবে না। গাঁজা বিক্রির ব্যাপারটি দেখভাল করছে কানাডার পর্যটন বিভাগ। কানাডার বড় বড় শহর আমেরিকার দেড়’শো  থেকে দুইশত কিলোমিটারের মাঝে অবস্থিত হওয়ার ফলে আমিরিকা থেকে প্রচুর মানুষ গাঁজা কিনছে।
এতদিন কানাডাতে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে গাঁজা বিক্রি হলেও ১৭ অক্টোবরের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। কানাডিয়ানদের কাছে গাঁজা থাকবে "লাইফ স্টাইল" হিসাবে । গাঁজা বৈধ করার ব্যাপারে গাঁজা প্রেমীরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নির্বাচনের আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি বিজয়ী হলে কানাডাতে গাঁজা বৈধ করবেন। গাঁজা বৈধ হবার মাঝে প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্বাচনী ওয়াদা ও পুরন হলো।
কানাডাতে গাঁজা নিষদ্ধ থাকলেও অবৈধ পথে এতোদিন গাঁজা বিক্রি হতো। মেক্সিকো সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে গাঁজা আসতো। মূলতঃঅবৈধ গাঁজা বিক্রি হবার ফলে সরকার প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন ডলার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতো। গাঁজা বৈধ হবার ফলে সকরকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করবে প্রতিবছর।
কানাডা আপাততঃ কোন দেশ থেকে গাঁজা আমদানি করবে না। কানাডার বাজারে তাদের নিজস্ব উৎপাদিত গাঁজা বিক্রি করবে। কানাডার প্রধান গাঁজা উৎপাদনকারী প্রদেশ হচ্ছে ব্রিটিশ কলোম্বিয়া , অন্টারিও, তাছাড়া ইতিমধ্যে বিভিন্নপ্রদেশে গাঁজা উৎপাদন শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে কানাডার বড় বড়  শহরে গাঁজার দোকানের সাজ - সজ্জার পাশাপাশি কর্মীদের প্রশিক্ষন চলছে পুরাদমে। সকল কর্মীকে গাঁজা নিয়ে কাজ শুরু করার সরকারের অধীনে একটি পরীক্ষা দিয়ে সনদ গ্রহণ বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। ওই সনদ ছাড়া কেউ গাঁজার দোকানে কাজ করতে পারবে না।
একজন ক্রেতা একদিনে ৩০ গ্রামের বেশি গাঁজা ক্রয় করতে পারবে না। গাঁজা বৈধ হলেও  দাম ধরা হয়েছে অনেক। ১ গ্রাম গাঁজা বিক্রি হবে ৯ থেকে ১০ কানাডিয়ান ডলার। গাঁজার এই উচ্চ দাম সাধারন মানুষ চরম হতাশা প্রকাশ করেছে।

No comments

Powered by Blogger.