বুদ্ধিমান সন্তান চেনার উপায়

সবাই চায় তার সন্তানটি বুদ্ধিমান হোক। তবে কেউ জানে না বাচ্চাটি বুদ্ধিমান হবে কিনা। শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর জন্মের পর থেকেই তার নানা স্বভাব ও অভ্যাসই বলে দিতে পারে সে আদৌ বুদ্ধিমান হবে কি না। দেখে নেয়া যাক এমন কিছু বৈশিষ্ট্য যা বুদ্ধিমান সন্তানের লক্ষণ...
  •   কথায় কথায় সন্তানের মুখে প্রশ্ন- কী-কেন-কীভাবে এ সব প্রশ্ন লেগেই থাকে সন্তানের মুখে। তা হলে বিরক্ত না হয়ে আনন্দিত হওয়া উচিত। কৌতূহলী শিশু মানেই, ধরে নেওয়া হয় তার বুদ্ধি অন্যদের চেয়ে বেশি।
  •  শিশুদের বসতে শেখা, হামা দেয়া, দাঁড়াতে শেখা প্রত্যেকটিরই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। সন্তান যদি সেই সময়ে পৌঁছনোর কিছু আগেই শিখে ফেলে  তা হলে তা বুদ্ধিমান হয়ে ওঠার অন্যতম লক্ষণ।
  •  অচেনা কারও সঙ্গে শিশু যদি সহজেই মানিয়ে নিতে পারে তাহলে যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে আপনার সন্তান অনেকটা এগিয়ে। বাড়িতে পোষ্য প্রাণি থাকলে তার প্রতিও শিশুর ব্যবহার লক্ষ্য রাখুন। এতে শিশুর সাহস ও মানসিক বিকাশের পরিমাপ বোঝা যায়।
  •   শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অম্লান দত্তর মতে, এক বছরের আশপাশে পৌঁছলে তবেই শিশু দু’-একটা শব্দ বলতে শেখে। যদি আপনার সন্তানের মধ্যে কথা বলতে শেখার প্রবণতা আরও তাড়াতাড়ি আসে, তা হলে বুঝতে হবে সন্তান বুদ্ধিমান।
  •  খুব একগুঁয়ে হওয়া যেমন সমস্যার, তেমন শিশুর কিন্তু একটু-আধটু জেদ থাকাকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, কোনও বিষয়ে একেবারেই একগুঁয়ে না হলে শিশুর নিজস্ব বিচার ক্ষমতা ও দৃঢ়তা তৈরি হয় না। বুদ্ধি তৈরিতে এই দুই-ই প্রয়োজন।
  •    চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, যে কোনও খেলনা বা পছন্দসই বিষয়ে যে কোনও সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন শিশুর একটানা মনঃসংযোগ থাকার সময়সীমা ১৫ মিনিট।কিন্তু ‘সন্তান যদি কোনও একটি খেলনা, আঁকার বই নিয়ে একমনে মেতে থাকতে পারে ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে তা হলে সে ‘ফোকাসড’। বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক তা।
  •  কিছু পেলে তা খুলে তার কল-কব্জা বার করে ফেলার প্রবণতা আছে শিশুর? জিনিসের যতœ জানে না ভেবে এতে বিরক্ত হবেন না, সাধারণত, এরা কৌতূহলী হয়। নিজেই বুঝতে চেষ্টা করে জিনিসের ভিতরে আরও কী কী আছে। আপাত দৃষ্টিতে তা অযতœ বলে মনে হলেও এটি আদতে শিশুর জানতে চাওয়ার লক্ষণ। বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।

No comments

Powered by Blogger.