৩৬ বছর বয়সী নারী হবেন পুরুষ

আসাম সরকারের ৩৬ বছর বয়সী নারী কর্মী রীতা দেবী। তিনি এখন আর নারী থাকতে চান না। অপারেশন করিয়ে পুরুষে রূপান্তরিত হতে চান। তাই যোগাযোগ করেছেন মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে। সেখানে তার প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। প্রক্রিয়া চলছে তার লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষে রূপান্তরের। শুধু তিনি একাই নন। একই রকমভাবে লিঙ্গ পরিবর্তন করানোর লাইনে রয়েছেন আরো ১২ জন। ভারতের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিক এ খবর দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে ললিত সালভে নামে একজন কনস্টেবল সম্প্রতি এমন প্রক্রিয়ায় লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়েছেন। তার কাহিনী শুনে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন আসাম সরকারের বিদ্যুত বিভাগের কর্মী রীতা দেবী। এ জন্য তিনি যোগাযোগ করেছেন মুম্বইয়ের সেইন্ট জর্জ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার তার প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। এরপর তিনি আসামে ফিরে গেছেন। তবে এই যে লিঙ্গ পরিবর্তনের যে ধাপে তিনি পা দিয়েছেন তাতে তার সামনে বড় একটি বাধা রয়েছে। তা হলো রাজ্য সরকারের অনুমোদন। তারা যদি কোনো অনাপত্তি না করে তাহলেই রীতা দেবী এই অপারেশন করাতে পারবেন। তা ছাড়া তার কমপক্ষে এক মাসের ছুটি প্রয়োজন হবে।
রীতা দেবী বলেছেন, তিনি নারী হলেও নিজের ভিতর কখনো মেয়েত্ব বা নারীত্ব অনুভব করেন নি। তার ভাষায়, যখন আমি ললিতের লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়ে শুনতে পাই তখনই সামনে এগুনোর সাহস পাই। আমার বাড়ি এমন একটি গ্রামে যেখানকার মানুষ জানেই না যে লিঙ্গ পুনর্গঠন করা যায় বা লিঙ্গ পরিবর্তন করা যায়। আমার এখন বয়স ৩৬ বছর। অনেক মানুষ আমার কাছে বিয়ের বিষয়ে জানতে চান। তবে এ বিষয়ে আমি সিরিয়াসলি কিছু ভাবি নি। কারণ, আমার লিঙ্গগত পরিচয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি। এক্ষেত্রে আমার আত্মীয়রা আমাকে সব সময় সমর্থন দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
ওই হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেন্ডেন্ট ড. মাধুকর গাইকওয়াড বলেছেন, রীতা দেবীকে এ প্রক্রিয়ায় আসতে হলে আসাম রাজ্য সরকারের অনুমোদন আনতে হবে। তা ছাড়া প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি। তাই তাকে মেডিকেল ছুটি আনতে হবে। এক্সরেতে দেখা গেছে তার যৌনাঙ্গের গঠন পরিপূর্ণ। এ জন্য আমাদের জন্য কাজটি খুব সহজ হবে। আমরা শুধু সেটাকে তুলে ফেলবো। তারপর সেখানে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে বসিয়ে দেব পুরুষের একটি লিঙ্গ। তবে এখনও বিষয়টি অনেক পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে।
আরো ১২ জন একই লাইনে
লিঙ্গ পরিবর্তনের এই একই ধারায় আছেন মহারাষ্ট্রের আরো ১২ জন। তারা লিঙ্গ পরিবর্তনের অপারেশনের জন্য হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়েছেন। এর বেশির ভাগই নারী। এর মধ্যে রয়েছে ৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে। ডা. মাধুকর বলেন ললিত, তার চিকিৎসক ড. রজত কাপুর ও আমি নিয়মিত ফোন পাচ্ছি। এখন আমরা আগ্রহীদের ডাটা একত্রিত করছি। এমনকি ৫ বছর বয়সী একটি মেয়ের পরিবার ললিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তার কাছে সহায়তা চাইছে কিভাবে আমাদের নাগাল পাওয়া যায়।

No comments

Powered by Blogger.