২ বালিকাকে দেহব্যবসায় নামিয়েছেন এক মা, খদ্দের ৩ বাংলাদেশী

মাত্র ৫০ রিঙিতের বিনিময়ে দুই মেয়েকে বাংলাদেশী তিন পুরুষের হাতে যৌনকর্মী হিসেবে তুলে দিলেন এক মা। ওই মাকে ‘মনস্টার মাম’ বা দানবীয় মা হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। বাংলাদেশী তিন নাগরিকের মনোরঞ্জনের জন্য তিনি ওই দুই মেয়েকে এক রাতের জন্য তুলে দিয়েছিলেন। ওই দুটি মেয়ে সৎবোন। তাদের একজনের বয়স আট বছর। আরেকজনের ১০ বছর।
বলা হচ্ছে, বাংলাদেশী ওই পুরুষদের মনোরঞ্জনে বাধ্য করা হয় তাদেরকে। ৩৯ বছর বয়সী ওই মা একজন বেকার। তার চতুর্থ ও পঞ্চম বিয়ের সূত্রে জন্ম হয় ওই দুই কন্যার। তাদেরকে নিয়ে তিনি মালয়েশিয়ার সিনাইয়ের তামান বিনটাংয়ে দ্বি-তল একটি বালিজ্যিক ভবনের ছয়টি রুমের একটিতে বসবাস করেন। তবে মেয়েদের যৌনব্যবসায় বাধ্য করতে তিনি বেছে নেন লারকিন পারদানায় একটি হোটেল। তার অবস্থান থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। সেখানে কয়েক বছর ধরে বসবাস করছেন মালার নামে একজন। তিনি বলেছেন, এই পেশায় নামানো মেয়ে দুটির পড়াশোনা চলছিল ধূর গতিতে। তারা খুব কম কথা বলতো। ঠিক মতো স্কুলে যেতো না। তবে তাদেরকে এমন পেশায় নামানো হয়েছে এ বিষয়ে তার কোনো ধারণা ছিল না। নিয়মিত তার বাসায় আসা-যাওয়া করতেন বাংলাদেশী এক পুরুষ। মালার বলেছেন, আমাদের ধারণা ছিল ওই বাংলাদেশী হয়তো তার স্বামী। তারা একসঙ্গে থাকতেন মাঝে মাঝেই। অভিযুক্ত মা একটি কারখানায় কাজ করতেন। কিন্তু কয়েক মাস আগে তার চাকরি চলে যায়। স্থানীয় পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ খলিল কাদের এ অভিযোগ তদন্ত করছেন। তিনি বলেছেন, গত কয়েক মাস ধরে প্রতি শ্রকিবার মেয়েদেরকে ওই হোটেলে নিয়ে যেতেন ওই মা। তাদেরকে দিয়ে অর্থের বিনিময়ে দেহ ব্যবসা করাতেন। ২৫ শে অক্টোবর তামান বিনতাং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন মামলাটি তদন্তাধীন। শেষ হতে সময় লাগবে এক মাসের মতো। তবে যে বাংলাদেশীদের কাছে ওই দুই মেয়েকে তুলে দেয়া হয়েছে তাদের নাম জানা যায় নি।

No comments

Powered by Blogger.