ট্রাম্প কী কাশ্মীর প্রশ্নে মধ্যস্থতা করতে যাচ্ছেন? by হামিদ মীর

বিষয়টা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র  মোদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঈদ উপহার প্রদানের মতো। মার্কিন প্রশাসন ২৬শে জুন যখন হিজবুল মুজাহিদীন প্রধান সৈয়দ সালাহউদ্দিনকে বিশেষ বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করলো, তখন উপমহাদেশের মুসলমানেরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছিল। কিছুক্ষণ পর ওয়াশিংটনে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প। ভারতীয় মিডিয়া এই ঘোষণাকে ‘ভারতের জন্য বড় একটি’ জয় হিসেবে তুলে ধরে। পাকিস্তানি মিডিয়া একে ‘মোদিকে খুশি করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যায় কাজ’ হিসেবে অভিহিত করে। ওই রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা নীরব থাকলেও দুই  দেশের মিডিয়া যুদ্ধ, বিশেষ করে টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে বাদানুবাদ এমন উগ্র জাতীয়তাবাদে পরিণত হয় যে, তা কর্মকর্তাদের মধ্যকার কূটনৈতিক বিরোধের চেয়েও খারাপ হয়ে দাঁড়ায়।
নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ওই রাতে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিসম্পন্ন দুই  দেশের মধ্যকার বাড়তে থাকা উত্তেজনাই ফুটিয়ে তুলেছিল ওই মিডিয়া যুদ্ধ। প্রশ্ন হলো, কেন অনেক ভারতীয় সৈয়দ সালাহউদ্দিনকে ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচনা করে আর  বেশিরভাগ পাকিস্তানি তাকে ‘স্বাধীনতা  যোদ্ধা’ বিবেচনা করে? ধারণা সব সময় বাস্তব না হলেও প্রায়ই তা বাস্তবতার  চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রায়ই অতিরঞ্জিত হওয়ার কারণ বাস্তব তথ্য ও অভিমতের মধ্যে বিভ্রান্তি থাকে। ভারতের বোঝা প্রয়োজন, পাকিস্তানে লস্কর-ই-তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাইয়িদ এবং জৈশ-ই-মোহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে যে দৃষ্টিতে দেখা হয়, সৈয়দ সালাহউদ্দিনকে বিবেচনা করা হয় ভিন্নভাবে। অনেক পাকিস্তানি জম্মু ও কাশ্মীরে হাফিজ সাইয়িদ ও মাসুদ আজহারের ‘হস্তক্ষেপ’ পছন্দ করে না। কারণ এ দুজন কাশ্মীরি নন। কিন্তু সৈয়দ সালাহউদ্দিনের ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা মনে করে, তিনি শ্রীনগর থেকে আসা শিক্ষিত কাশ্মীরি, তিনি ১৯৮৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট কারচুপির পর বন্দুক হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
হিজবুল মুজাহিদীনের (এইচ এম) মধ্যে পীর সাহেব নামে তিনি পরিচিত। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফও তাকে এমনই বিবেচনা করেন। সালাহউদ্দিন ১৯৮৭ সালে মুসলিম ইউনাইটেড ফ্রন্টের (এমইউএফ) হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ন্যাশনাল কনফারেন্স অভিযোগ করে, পিডিএফ-প্রধান মুফতি  মোহাম্মদ সাইয়িদ নীরবে সৈয়দ সালাহউদ্দিনকে (তিনি সৈয়দ ইউসুফ শাহ নামে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন) সমর্থন করছেন।
নির্বাচনে সালাহউদ্দিন হেরে যান। পরে তিনি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন। তাকে গ্রেপ্তার করে দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়। ১৯৮৯ সালে তিনি এইচএমে যোগ দেন। এই দলটি আসলে শুরু করেছিলেন সাবেক স্কুলশিক্ষক মাস্টার আহসান দার। সীমান্ত অতিক্রম করে তিনি আফগানিস্তানে প্রবেশ করেন। খোশত এলাকায় গিয়ে পীর সাহেব আলবদর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যোগ দেন। এই ক্যাম্পটি একসময় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিজব-ই-ইসলামী প্রধান গুলবুদ্দিন  হেকমতিয়ার। প্রথমদিকে এইচ এম ক্যাডাররা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নয়, বরং আফগানিস্তানের আল-বদর ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিতেন। সাবেক সোভিয়েত  সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে অস্ত্র সরবরাহ করতো। পীর সাহেব ১৯৯১ সালে এইচএমের প্রধান কমান্ডার হন। অস্বীকার করার উপায় নেই, ১৯৯৫ সালে বেনজির ভুট্টো তালেবান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিতে শুরু করলে পাকিস্তান এস্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে ব্যবধান বাড়তে থাকে হেকমতিয়ারের। হিজব-ই-ইসলামী এবং এইচএম- উভয়ের সঙ্গে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আর ওই সময় জামায়াতে ইসলামী ছিল বিরোধীদলীয় নেতা নওয়াজ শরিফের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝিতে পীর সাহেব ঘোষণা করেন, তিনি তার সংগঠনকে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতা থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। এইচএম আর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকবে না। আর জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ ‘সশস্ত্র প্রতিরোধ’ আন্দোলন শুরু করবে। এই পদক্ষেপ হিজবুল মুজাহিদীনের মধ্যে ভাঙনের সৃষ্টি করে। জামায়াত ও  হেকমতিয়ারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিছু জঙ্গি স্থানীয় পশতু বখত জামিন খানের কমান্ডে আলবদর মুজাহিদীন প্রতিষ্ঠা করে।
জামায়াতের কাছ থেকে সম্পর্কচ্যুত হওয়াটা ছিল পীর সাহেবের একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ। তিনি পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে আরো বেশি সমর্থন লাভ করতে চেয়েছিলেন। তিনি এরপর প্রধান প্রধান সব রাজনৈতিক দলের  নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন। ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে তার সঙ্গে আমার প্রথম বৈঠকের কথা মনে আছে। আমার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি স্রেফ সিংয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করছি। তিনি যদি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন, তবে আমিও তা। তিনি সন্ত্রাসী হয়ে থাকলে, আমিও তা।’ পীর সাহেব জম্মু ও কাশ্মীরের সশস্ত্র সংগ্রামকে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করার মাধ্যমে পাকিস্তানের অনেক উদার রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীর মনোযোগ আকর্ষণ করেন। বস্তুত, তিনি ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিলের কাঠামোর মধ্যে লস্কর-ই- তৈয়বা এবং জৈশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে  যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে তিনি কখনো হাফিজ সাইয়িদ ও মাসুদ আজহারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলেননি। তারপর নওয়াজ শরিফ সরকারের সঙ্গে তার মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়। ১৯৯৯ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি বাসে করে লাহোরে গেলে এইচএমের অন্যতম কমান্ডার আবদুল মজিদ দার ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলন করে ‘কাশ্মীরিদের সঙ্গে গাদ্দারি’ করার জন্য নওয়াজ শরিফকে অভিযুক্ত করেন। এর কিছুদিন পরই ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে মোশাররফ উৎখাত করেন নওয়াজ শরিফকে।
ইতিহাসের চাকাটি কিভাবে বৃত্ত পূরণ করলো, তা দেখতে পাওয়াটা খুবই আগ্রহ-উদ্দীপক ঘটনা। আমেরিকান বার্তাবাহক মনসুর ইজাজের মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসন পীর সাহেবের সঙ্গে  যোগাযোগ করে। ইজাজের সঙ্গে তার প্রথম বৈঠকটি নির্ধারণ করে দেন সাবেক আইএসআই অপারেটর খালিদ খাজা। পীর সাহেবের মতে, ক্লিনটন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজাজ একটি বার্তা তাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বৈঠকে ইজাজের মা যোগ দেন। তিনি ছিলেন মোশাররফের মায়ের পুরনো বান্ধবী। পীর সাহেবের কাছে শান্তিচুক্তি প্রদানের আগে ইজাজ দিল্লি ও শ্রীনগরের অনেক কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার জন্য মোশাররফও পীর সাহেবের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। তারপর ২০০০ সালের জুলাই মাসে আইএসআই প্রধান জেনারেল মেহমুদ আহমদ শান্তিচুক্তিতে রাজি করান আবদুল মজিদ দারকে। ক্লিনটন প্রশাসন নীরব থাকে, তবে মনসুর ইজাজ নিশ্চিতভাবেই তৃতীয় পক্ষের হয়ে কাজ করছিলেন। পাকিস্তান ঠিক যা চাইছিল, তা-ই ঘটে। বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার হিজবুল মুজাহিদীনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। তবে দলটির মধ্যেই বিদ্রোহ  দেখা দেয়। নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে থাকা অনেক হিজব কমান্ডার পীর সাহেবের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বলতে থাকেন, ভারত এটাকে ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের’ মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করতে ব্যবহার করবে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হয়নি। ফলে আলোচনার মাঝপথেই পীর সাহেব তা থেকে সরে আসেন।
২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক দৃশ্যপট বদলে যেতে থাকে। কাশ্মীরের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। আবদুল মজিদ দার নিজেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পান। কিছু দিন পর তিনি গুপ্তহত্যার শিকার হন। এখন প্রশ্ন হলো, হিজবুল মুজাহিদীন যদি সন্ত্রাসী সংগঠনই হবে, তবে কেন বিজেপি সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে গেল? সাবেক ‘র’-প্রধান এ এস দৌলতের বই ‘কাশ্মীর- দি বাজপেয়ি ইয়ার্স’-এ সালাহউদ্দিনের ব্যাপারে আরো অনেক কাহিনী দেখা যায়। এক ঘটনায় দেখা যায়, সালাহউদ্দিন তার ছেলেকে  মেডিকেল কলেজে ভর্তি করার কাজে সহায়তা করার জন্য আইবি অফিসার  কে এম সিংয়ের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ফারুক আবদুল্লাহ রাজি হয়েছিলেন। তিনি পীর সাহেবকে ভক্তি করতেন। তার ছেলে ভর্তি হয়েছিল, পীর সাহেব  কে এম সিংকে ডেকে বলেছিলেন, ‘তোমার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’ এ এস  দৌলত তার বইয়ে যে দাবি করেছেন,  সে ব্যাপারে আমি জানতে চাইলে পীর সাহেব তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই তথ্য বিকৃতি করেছে।
সালাহউদ্দিন যে ভণ্ড তা প্রমাণ করার জন্য পীর সাহেবের অনেক বিরোধী এই বইটি ব্যবহার করেন। এমন  প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প প্রশাসন তাকে বিশেষ সন্ত্রাসী ঘোষণায় তা তার জন্য বেশ ভালো ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। মোদি ও সৈয়দ সালাহউদ্দিন উভয়কেই খুশি করেছেন ট্রাম্প। পীর সাহেব এমনটাই  চেয়েছিলেন। কাশ্মীরিদের স্বার্থের ব্যাপারে কেউ তার আন্তরিকতা নিয়ে সংশয় পোষণ করতে পারে না। মোদি ও পীর সাহেব উভয়কেই ঈদ উপহার দিলেন ট্রাম্প। সম্ভবত হিজবুল মুজাহিদীন কেবল জম্মু ও কাশ্মীরেই নয়, পাকিস্তানেও মার্কিনবিরোধী ভাবাবেগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। এইচএম কমান্ডার বুরহান মুজাফফর ওয়ানির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ৮ই জুলাই। ট্রাম্প কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় পতাকার পাশাপাশি আমেরিকান পতাকাও  পোড়ানোর সুযোগ করে দিলেন। তবে এটা কাশ্মীর আন্দোলনে জোরালো বিবৃতি দিতে নওয়াজ শরিফের ওপর আরো চাপই সৃষ্টি করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সৈয়দ সালাহউদ্দিনকে বিশ্ব সন্ত্রাসী ঘোষণায় তার ওপর কী প্রভাব পড়বে? তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে পারবেন না বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সম্পদ রাখতে পারবেন না।
বস্তুত এটা ভারতের জন্য একটি কূটনৈতিক জয়। একইভাবে এটা পীর সাহেবের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে আগ্রহী নন বা সেখানে সম্পদও জমাতে চান না। ওসামা বিন লাদেনের সহযোগী তার গুরু হেকমতিয়ারকেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিশ্ব সন্ত্রাসী  ঘোষণা করেছিল। তিনি জাতিসংঘেরও কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। বৃটিশ গার্ডিয়ান পত্রিকায় হেকমতিয়ার সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আফগান শান্তিচুক্তিতে কাবুলের কসাইকে ক্ষমা করা হয়েছে।’ হেকমতিয়ার গত ৪ঠা  মে কাবুলে ফিরেছেন। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের পূর্ণ সমর্থন ছিল। পাকিস্তানে অনেকে সৈয়দ সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষণাটিকে দিল্লির সঙ্গে আলোচনা শুরুর জন্য হিজবুল মুজাহিদীনের ওপরই নয়, সেই সঙ্গে পাকিস্তানের ওপরও একটি কৌশলী চাপ বলে মনে করেন। কেউই অস্বীকার করে না, কাশ্মীর বিরোধের চূড়ান্ত সমাধান নিহিত রয়েছে সংলাপে। কিন্তু মনে হচ্ছে, ভারতীয় ও পাকিস্তানি মিডিয়া তা না চাইলে সেটা হওয়ার নয়। তারা আরো দীর্ঘ সময় একে অপরকে অভিযুক্ত করে যাবে। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে চরমপন্থিদের হুমকি নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। কারণ আইএসআইএস কাশ্মীরি পাথর-নিক্ষেপকারীদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের  চেষ্টা করছে। তবে একদিন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ আলোচনায় বসে সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে কথা বলবে।
নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান ‘দ্বিপক্ষীয়’ সম্পর্কে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছেন। এটা সম্ভবত কাশ্মীর বিরোধে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার শুরু।
[লেখক: পাকিস্তানের শীর্ষ স্থানীয় সাংবাদিক, জিও নিউজের ডেইলি শো ‘ক্যাপিটাল টক’-এর উপস্থাপক]
মূল: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। অনূদিত নিবন্ধটি নেয়া হয়েছে সাউথ এশিয়ান মনিটর থেকে।

No comments

Powered by Blogger.