চিড়িয়াখানায় ‘শেয়াল দেবতা’র আবির্ভাব

অর্ধেক মানুষ অর্ধেক শেয়াল, ‘আনুবিস’ নামের মিসরীয় দেবতাটিকে নিয়ে কল্পনার অন্ত নেই। তবে বাস্তব জীবনেই যে তার দেখা মিলতে পারে, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। গভীর জঙ্গল বা মিসরের মরুভূমিতে নয়, পাকিস্তানের করাচি শহরেই সাড়া ফেলেছেন ‘শেয়াল দেবতা’ থুড়ি ‘শেয়াল দেবী’।
দীর্ঘদিন করাচির চিড়িয়াখানায় দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু অর্ধেক মানুষ অর্ধেক শেয়াল এক মহিলা। তার নাম মুমতাজ বেগম। শুধুমাত্র তাকে দেখার জন্যই দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার মানুষ।
চিড়িয়াখানার একটি কাচ ঘেরা জায়গায় বসে থাকেন শেয়াল দেবী। যদিও চিড়িয়াখানাটিতে বাঘ ও সিংহের মতো অন্যান্য জন্তুর অভাব নেই, তবুও তাকে দেখার জন্য শুরু থেকেই মুখিয়ে থাকেন দর্শকরা। তবে কি বিজ্ঞান মিথ্যে? এতদিনের গবেষণা বিফল! জীববিজ্ঞানীরাও কি শেয়াল দেবীর অস্তিত্বই স্বীকার করে নিয়েছেন?
গল্প এখনো শেষ হয়নি। ‘শেয়াল দেবীর’ নেপথ্যে যে সত্যিটা রয়েছে তা জানলে হতবাক হয়ে যাবেন আপনিও। তা কী সেই সত্যি? পাকিস্তানের বিখ্যাত শেয়াল দেবী আসলে মুরাদ খান নামে এক ব্যক্তি। তিনিই ওই ছদ্মবেশে দিনের ১২ ঘন্টা চিড়িয়াখানায় থাকেন। এর জন্য পারিশ্রমিক পান তিনি। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে মুরাদ জানিয়েছেন, তার বাবাও ওই চিড়িয়াখানায় শেয়াল দেবীর অভিনয় করতেন।
চিড়িয়াখানাটির ডিরেক্টর মোহাম্মদ ফাহিম খান জানিয়েছেন, শেয়াল দেবীর আবির্ভাবের নেপথ্যে ছিলেন সার্কাসের কয়েকজন ব্যক্তি। প্রায় ৪০ বছর আগে জনতার মন জয় করতে তারাই তৈরি করেন অদ্ভুতদর্শন এই প্রাণীটিকে। অনেকেই নাকি শেয়াল দেবী হওয়ার জন্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। তবে সাধারণত পুরুষদেরই এই কাজের জন্য রাখা হয়। যোগ্যতা বলতে জানতে হবে বেশ কয়েকটি স্থানীয় ভাষা ও ঠায় বসে থাকার ক্ষমতা।

No comments

Powered by Blogger.