‘ডেট’ করছেন অ্যাসাঞ্জ-পামেলা

‘বেওয়াচ’ তারকা হিসেবেই সবাই চেনেন পামেলা অ্যান্ডারসনকে। বিনোদন জগতের নামীদামি এই তারকা আবারও আলোচনায় এসেছেন প্রেমের কারণে। সম্প্রতি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, তিনি এখন প্রেম করছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে। এরই মধ্যে গত চার মাসে পাঁচ পাঁচবার নাকি ডেট হয়েছে অ্যাসাঞ্জ ও পামেলার মধ্যে। কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। ডেইলি মেইল, মিররের খবরে বলা হয়েছে, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আছেন পাঁচ বছর ধরে। সম্প্রতি পামেলা অ্যান্ডারসন সেখানে গিয়ে দেখা করেছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে। খবরে দাবি করা হয়েছে, প্রেমের কারণেই নাকি পামেলা সেখানে গেছেন।
গত বছরের অক্টোবরের ১৫ তারিখ, নভেম্বরের ১৩ এবং ডিসেম্বরের ৭ ও ১২ তারিখ পামেলা ইকুয়েডর দূতাবাসে যান জুলিয়ানের সঙ্গে দেখা করতে। এ বছরের ২১ জানুয়ারি যখন পামেলা অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন দুহাতের ব্যাগ ভর্তি ছিল খাদ্য ও উপহার সামগ্রীতে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে দুজনের মন দেওয়া-নেওয়া চলছে। বসয়ের চার বছরে ছোট জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ (৪৫) এবং পামেলার (৪৯) প্রেম নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো বেশ কিছু রসালো খবরও করেছে। এর আগে এ বছরের প্রথম দিকে অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করার অনুরোধ জানিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে চিঠি লেখেন পামেলা। কোনো কোনো গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পামেলা বলেছেন, উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা যা করেছেন, তা সত্যিই ভালো কাজ। একজন রাজনৈতিক ভাষ্যকার পেজ সিক্স ডটকম নামের একটি ওয়েবসাইটকে বলেন, ‘অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় পামেলাকে আবেদনময়ী পোশাক পরতে দেখা গেছে।’ মার্কিন টিভি সিরিজ ‘বেওয়াচ’-এ ‘সি জে পার্কার’ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠা পামেলা অ্যান্ডারসন টানা পাঁচ বছর ছিলেন ‘বেওয়াচ’ সিরিজের সঙ্গে।
২০০৭ সালের অক্টোবরে রিকের সঙ্গে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছিল পামেলার। কিন্তু মাত্র দুই মাস পর বিচ্ছেদের আবেদন করেন আবেদনময়ী এ তারকা অভিনেত্রী। ২০০৮ সালের মার্চে কাগজে-কলমে তাঁদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। রিকের আগে মার্কিন সংগীতশিল্পী ও ড্রামার টমি লি এবং মার্কিন গায়ক ও অভিনেতা কিড রককে বিয়ে করেছিলেন পামেলা। এদিকে ২০১০ সালে কয়েক লাখ মার্কিন গোপন নথি ফাঁস করে সারা দুনিয়ায় হইচই ফেলে দেয় উইকিলিকস। কিছুদিন পর সুইডেনে অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় বিচারের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার ২০১০ সালে তাঁকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল। প্রত্যর্পণ এড়াতে ২০১২ সালের জুনে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। সেই সময় থেকে অ্যাসাঞ্জ সেখানেই আছেন।

No comments

Powered by Blogger.