ব্রেক্সিটের পর ওয়ার্ক পারমিট চালুর কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য

ব্রেক্সিট-পরবর্তী অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কাজের অনুমতিপত্র বা ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে যুক্তরাজ্য। তবে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বিবেচনায় রেখেই করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রাড। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাড বলেন, কাজের অনুমতির ব্যাপারটি বিবেচনার মতো বিষয়, তবে এখনই কোনো কিছু উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। তিনি মেনে নিয়েছেন, ব্রেক্সিটের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্য দেশগুলো ব্রিটেনের নাগরিকদের জন্য নতুন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। ব্রিটিশ নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য ভিসা নেওয়াও তারা বাধ্যতামূলক করতে পারে। কিন্তু কিছু করার নেই। কারণ যুক্তরাজ্যের জনগণ অভিবাসন কমাতে ব্রেক্সিটের (যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়ার সংক্ষেপ) পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ইউরোপের বাসিন্দাদের স্বাভাবিক যাতায়াত বন্ধ করা এবং ইইউর একক বাজারে যুক্তরাজ্যের প্রবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আম্বার রাড বলেন, যুক্তরাজ্য যখন ইইউ থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসবে তখন পুরো পরিস্থিতির ওপর দেশটির নিয়ন্ত্রণ থাকবে। ইইউর সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি হবে এবং পুরো ব্যাপার হবে পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে। অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনার ব্যাপারে কনজারভেটিভ দলের প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাঁদের সরকার এখনো ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে’। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অভিবাসী কমিয়ে আনতে অনেক সময় লাগবে। তিনি বলেন, অনেকে ‘স্টুডেন্ট ভিসা’ ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে আসেন। এই প্রবণতা কমানো হবে। ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের আগে আম্বার রাড ইইউতে থাকার পক্ষে জনমত গঠন করেছিলেন। তখন তিনি বোরিস জনসনসহ ব্রেক্সিট শিবিরের ব্যাপক সমালোচনা করেন। এখন অবশ্য তাঁর সুর অনেকটা নমনীয়।

No comments

Powered by Blogger.