লেবার পার্টিতে গৃহবিবাদ তুঙ্গে

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন
ইইউ প্রশ্নে গণভোটের পর থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে।
গতকাল লন্ডনের বাসা থেকে বের হওয়ার সময়
এভাবেই ক্যামেরাবন্দী হন তিনি। রয়টার্স
যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেওয়ার পর দেশটির বিরোধী দল লেবার পার্টিতে চরম গৃহবিবাদ শুরু হয়েছে। জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের পদত্যাগ এবং একজনের বরখাস্তের পর দলটির নেতা জেরেমি করবিন প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছেন। ইইউ গণভোট বিষয়ে লেবার নেতার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পদত্যাগী সাত নেতা হলেন হেইডি আলেকজান্ডার, ইয়ান মারে, গ্লোরিয়া দ্য পিয়েরো, লিলিয়ান গ্রিনউড, লুসি পাওয়েল, কেরি মাক্যার্থি ও সীমা মালহোত্রা। তাঁরা সবাই ছায়া মন্ত্রিসভার সদস্য। এর আগে ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি বেনকে দলনেতা করবিন বরখাস্ত করেন। এরপরই দলে অস্থিরতা দেখা দেয় এবং একে একে ওই নেতারা পদত্যাগ করেন। হিলারি বেন দলনেতা করবিনকে তাঁর নেতৃত্বে আস্থা হারানোর কথা বলার পর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। বেন বলেছিলেন,
জেরেমি করবিন ভালো ও ভদ্র মানুষ, কিন্তু তিনি নেতা নন। বেন বরখাস্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ছায়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেইডি আলেকজান্ডার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। গতকাল রোববার দিনের প্রথম দিকেই পদত্যাগ করে বসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেইডি আলেকজান্ডার। করবিনকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি বলেন, ‘আমি একজন নীতিমান মানুষ হিসেবে আপনাকে সম্মান করি। কিন্তু আমার মনে হয় আমাদের দেশের যে চাহিদা, তা মেটানোর মতো সক্ষমতা আপনার নেই।’ ছায়া মন্ত্রিসভার পরিবেশমন্ত্রী কেরি ম্যাকার্থি এবং শিক্ষামন্ত্রী লুসি পাওয়েলের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে লেবার নেতৃত্বের পদত্যাগী সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ায় সাতে। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শক্তিশালী ছায়া মন্ত্রিসভার অর্ধেক সদস্যই পদত্যাগ করবেন।

No comments

Powered by Blogger.