যুক্তরাজ্যবাসীর রায় জানা যাবে আজ

ইইউ প্রশ্নে গণভোটে ভোট দেওয়ার পর লন্ডনের
এক কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ডেভিড ক্যামেরন ও তাঁর স্ত্রী সামান্থা। ছবি: এএফপি
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকা না-থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে ঐতিহাসিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে। আজ শুক্রবার সকাল নাগাদ গণভোটের ফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গণভোটের আগাম ফলাফল জানার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি এবার। গণমাধ্যমগুলোকে বুথফেরত জরিপ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্যই অপেক্ষা করতে হবে। ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডের গণভোটের সময়ও বুথফেরত জরিপের সুযোগ ছিল না। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসের তৃতীয় এই গণভোটে সব মিলিয়ে মোট ভোটার প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ। এই গণভোটে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি স্পেন উপকূলের অদূরের ব্রিটিশ শাসিত ক্ষুদ্র ভূখণ্ড জিব্রাল্টারের অধিবাসীরাও তাঁদের রায় দিয়েছেন। গণভোটের ব্যালট পেপারে ভোটারদের প্রতি প্রশ্ন রাখা হয়েছে, ‘যুক্তরাজ্যের ইইউর সদস্য হিসেবে থাকা উচিত, নাকি ইইউ ত্যাগ করা উচিত?’ প্রত্যেক ভোটারকে থাকা না-থাকার যেকোনো একটি অপশনে টিক দিতে হবে। প্রাপ্ত ভোটের মধ্যে যে পক্ষ অর্ধেকের বেশি ভোট পাবে, সেই পক্ষ জয়ী বলে বিবেচিত হবে। ফলাফল গণনার জন্য যুক্তরাজ্যকে ৩৮২টি এলাকায় ভাগ করা হয়েছে। সেখানে প্রতিটি ব্যালট পরীক্ষা করা হবে। প্রতিটি এলাকার ভোটার উপস্থিতি ঘোষণা করা হবে। এরপর ভোট গণনা শুরু হবে। ২৮ দেশের ইইউতে থাকা না-থাকা নিয়ে যুক্তরাজ্য দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। গণভোটের আগে চার মাস ধরে চলে প্রচার-প্রচারণা। তবে ভোট উৎসবে বাদ সাধে বৃষ্টি। লন্ডন শহরের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভোটারদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনসহ প্রধান রাজনৈতিক নেতারা ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন। অভিবাসনবিরোধী দল ইউকে ইনডিপেনডেন্টস পার্টি (ইউকিপ) এবং ক্যামেরনের মন্ত্রিসভার বিদ্রোহী সাত সদস্য ইইউবিরোধী প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের ১৩৭ জন এমপি ও লেবার দলের ১০ জন এমপি ইইউর বিপক্ষে অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। ইইউতে যুক্তরাজ্যের থাকা না-থাকার বিতর্কে বিশ্বনেতারাও যোগ দেন। এর আগে ১৯৭৫ সালে ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটিতে (ইইসি) যোগ দেওয়ার প্রশ্নে গণভোটে ৬৭ শতাংশ পক্ষে ভোট দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। ইইসিই পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) রূপ নেয়।

No comments

Powered by Blogger.