কারও কাছে ‘বড় আঘাত’ কারও মতে ‘কঠিন পরীক্ষা’

বারাক ওবামা
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্বনেতারা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের অনেকেই ভোটের আগে যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়া উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন। গতকাল ফল ঘোষণার পর প্রায় সবাই বলেছেন, যুক্তরাজ্যবাসী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার প্রতি তাঁরা শ্রদ্ধাশীল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাজ্যবাসীর সিদ্ধান্তের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শ্রদ্ধা রয়েছে। যুক্তরাজ্য ও ইইউ উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপরিহার্য অংশীদার’। তিনি আরও বলেন, লন্ডনের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আগের মতোই থাকবে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি অবশ্যই বলব, ভিন্ন রকম ফল আশা করেছিলাম।’ অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের আয়-উপার্জন যাতে এ ঘটনায় বিঘ্নিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউরোপের দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোকে সমৃদ্ধ করতে কেউই নিজের দেশের অর্থ ঢালতে রাজি হবে না। শরণার্থীর মতো সমস্যা সমাধানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে, তা যুক্তরাজ্যবাসীর মনঃপূত নয়। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল যুক্তরাজ্যবাসীর রায়কে ইইউর ওপর একটি ‘বড় আঘাত’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের নিজস্ব সিদ্ধান্ত প্রতিফলিত হয়েছে গণভোটের রায়ে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ গণভোটের রায়কে ইউরোপের জন্য ‘মহাপরীক্ষা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এক জরুরি বৈঠকের পর ইইউ নেতৃত্ব যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়ার সিদ্ধান্তে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করলেও দেশটির জনগণের রায়ের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা জানান। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জঁ-ক্লদ জাংকার বলেন, ২৭ সদস্যের জোট তাদের কার্যক্রম এগিয়ে নেবে।

No comments

Powered by Blogger.