মামুনুলদের তাজিকিস্তান-যাত্রা

ফিরে এসেছেন ডাচ কোচ ডি ক্রুইফ। ফের দায়িত্ব নিয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরেই নেতৃত্ব ফিরে পেলেন মামুনুল ইসলাম। গুরু-শিষ্য ফিরে আসার পর আবারও তাজিকিস্তান যাত্রা। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে রোববার দুশানবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ল জাতীয় ফুটবল দল। ডি ক্রুইফের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মামুনুলেরও। তার কথায়, ‘ঢাকায় আন্তর্জাতিক ম্যাচের প্রত্যেকটিই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রতিনিয়তই আমাদের নতুন করে চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামতে হয়। তাজিকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচটিও খুবই চ্যালেঞ্জিং। কারণ আমরা যারা নিষেধাজ্ঞা থেকে দলে ফিরে এসেছি, এই ম্যাচে তাদের ভালো পারফর্ম করা খুবই জরুরি।’ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মিশন শেষে এবার এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ। এবার তাজিকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ। প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গেলেন মামুনুলরা। ২ জুন দুশানবেতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
গেল দু’সপ্তাহ প্রধান কোচ ডি ক্রুইফের অধীনে অনুশীলনে ঘামও ঝরিয়েছেন ফুটবলাররা। তাজিকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের অতীত রেকর্ড ভালো নয়। সাম্প্রতিক ফলও অনুল্লেখ্য। গেল বছরের ১২ নভেম্বর বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে তাজিকদের কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় জাতীয় দল। তার আগে গেল বছর ১৫ জুন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হোম ম্যাচে তাজিকদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল স্বাগতিকরা। মামুনুলের কথায়, ‘তাজিকিস্তানের বিপক্ষে আমরা এখনও ভালো কিছুই করতে পারিনি। শেষ ম্যাচ আমরা ৫-০তে হেরেছিলাম। একটি ম্যাচে ড্র করেছি। এবার অ্যাওয়ে ম্যাচে আমরা একটি দল হিসেবে ভালো কিছু করার জন্য যাচ্ছি। ভালো পারফর্ম করতে চাই। এ ম্যাচে আমরা হারব কী জিতব সেটা এখনই বলতে পারছি না। তবে কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী খেললে আশা করি ভালো ফল হবে।’ অন্যদিকে সাফ জানিয়ে দিলেন ডি ক্রুইফ, ‘তাজিকিস্তানে আমরা বেড়াতে যাচ্ছি না। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। আশা করি, তারা ভালো করবে। তারা উজ্জীবিতও। এরপর আমাদের হোম ম্যাচ। সেখানে ইতিবাচক কিছু করতে হলে তাজিকিস্তানে ভালো ফল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
৭ জুন হোম ম্যাচে ঢাকায় তাজিকদের বিরুদ্ধে খেলবে বাংলাদেশ। এদিকে সরকারি অনুমতি (জিও) না নিয়েই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল দলকে তাজিকিস্তানে পাঠাল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বিদেশে বাংলাদেশ ক্রীড়া দল পাঠাতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু বাফুফে জিও নেয়নি। যদিও ২৫ মে জিও চেয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে চিঠি দিয়েছিল বাফুফে। সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৩৩ জনের জন্য জিও চাওয়া হয়। ২৭ ও ২৮ মে সরকারি ছুটি ছিল। রোববার সকালে দল তাজিকিস্তান যায়। সাধারণত জিও’র জন্য ৭ থেকে ১৫ দিন আগে চিঠি দেয়ার নিয়ম রয়েছে। বাফুফে অন্যান্য সফরের সময় এ নিয়ম মানলেও এবার নিয়মের তোয়াক্কা করেনি। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাংলাদেশের ক্রীড়া প্রতিনিধি দল দেশের বাইরে গেলে সেই দলের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তায়। জিও দেয়া হয় যাতে প্রতিনিধি দলের যাবতীয় তথ্যাদি মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে। এ ব্যাপারে বাফুফের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হবে বলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.