মমতাকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপা দাশমুন্সি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা চ্যালেঞ্জে ছাড়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রী এবং সাবেক সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। গতকাল রোববার প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপা বলেন, এবার মমতাকে তিনি ‘ফাঁকা মাঠে গোল’ দিতে দেবেন না। দীপা এবার দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর আসনে সিপিএম-তৃণমূল জোটের প্রার্থী হয়েছেন মমতার বিরুদ্ধে। সেখানে শুধু দীপা নন, আরেক শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখে পড়েছেন মমতা। তিনি হলেন বিজেপির প্রার্থী চন্দ্রকুমার বসু। চন্দ্রকুমার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতি। ২০১১ সালের উপনির্বাচনে ভবানীপুর থেকে জিতেছিলেন মমতা। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনের প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। মমতা তখন সাংসদ। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর সুব্রত বক্সী এই আসন ছেড়ে দেন মমতার জন্য।
এরপরই এই আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জেতেন মমতা। হন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা এ আসনে সিপিএমের প্রার্থী নারায়ণ প্রসাদ জৈনকে হারিয়েছিলেন বিপুল ভোটে। এবারও ভবানীপুরেই দাঁড়াচ্ছেন মমতা। গতকাল সকালে প্রথম আলোকে দীপা বলেছেন, চ্যালেঞ্জ করাটা তিনি শিখেছেন তাঁর স্বামী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির কাছেই। তিনি বলেন, ‘বিনা চ্যালেঞ্জে এই আসন ছেড়ে দেব না। আমার স্বামী বলতেন, রাজনীতিতে চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছাড়া প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। এই চ্যালেঞ্জ নিতে পারলেই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা যায়।’ দীপা বলেন, ‘এবার আমরা মাঠে নেমেছি “তৃণমূল হটাও, বাংলা বাঁচাও” স্লোগানকে অস্ত্র করে। নিশ্চয়ই আমরা এবার আর ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না।’ দীপা দাশমুন্সি এ কথাও বলেন, প্রতিপক্ষকে তিনি কোনো সময় দুর্বল মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই সত্যিই এক কঠিন কাজ। তবুও আমি এই লড়াইকে গ্রহণ করেছি। এই রাজ্যের মানুষ যে স্বপ্ন নিয়ে তৃণমূলকে গদিতে বসিয়েছিলেন সেই স্বপ্ন আজও বাস্তবায়িত হয়নি। রাজ্যে এখন প্রতিকূল অবস্থা বিরাজ করছে। আমার লড়াই হবে প্রতিকূল অবস্থা থেকে এই রাজ্যকে অনুকূল অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।’ দীপা দাশমুন্সি এর আগে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে প্রার্থী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। এবার তিনি ফিরে এসেছেন তাঁর জন্মভিটের আসন ভবানীপুরে। এই ভবানীপুরের রাণী ভবানী রোডের বাড়িতেই তাঁর জন্ম।

No comments

Powered by Blogger.