‘অর্থনীতির জন্য স্থিতিশীল পুঁজিবাজার খুবই জরুরি’

দেশের স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময়ই স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। অবশ্য পরিস্থিতির কারণে কখনো কখনো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ২০১০ সালে পুঁজিবাজার যেভাবে উন্মাদের মতো এগোচ্ছিল, সে সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর সিদ্ধান্ত না নিলে দেশের ৮-১০টি ব্যাংক পড়ে যেত। ওই সময় কঠোর হওয়ায় পুঁজিবাজারের পাশাপাশি মুদ্রাবাজারও রক্ষা পেয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর অনাবাসী বাংলাদেশি (এনআরবি) আয়োজিত ‘পুঁজিবাজার ও আবাসন খাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর এনআরবি’র সভাপতি এমএস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এনবিআর সদস্য পারভেজ ইকবাল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান, আহসানুল ইসলাম টিটু, সাবেক সহ-সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী, মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন, ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশীদ প্রমুখ।
ড. আতিউর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে অনেকে অনেক কিছু ভেবেছেন, অনেকে আমার সম্পর্কে অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু সন্তান যখন অবাধ্য হয়ে যায়, তখন মাঝেমধ্যে শক্তিশালী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেই শক্তিশালী সিদ্ধান্ত নিয়ে শুধু পুঁজিবাজার নয়, মুদ্রাবাজারকেও রক্ষা করেছি। অনেক দিন পর এসে আজ এ কথা বলতে পারি। গভর্নর বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, সরকারসহ সবার সম্মিলিত চেষ্টায় এখন বাজার একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে এসেছে। বাজার এখন অত্যন্ত শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে। আগামী দিনে তা আরও ভালো করবে। পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ (এক্সপোজার) সম্পর্কে গভর্নর বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব ব্যাংকের সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ ছিল, সেসব ব্যাংক নিজেদের প্রয়োজনে অতিরিক্ত বিনিয়োগ ইতিমধ্যে প্রায় সমন্বয় করে ফেলেছে। মাত্র কয়েকটি ব্যাংক সমন্বয় করতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারাও সমন্বয় করে ফেলতে পারবে।

No comments

Powered by Blogger.