জবানবন্দিতে সেই নববধূ যা বলেছেন-

আমার সঙ্গে মোফাজ্জলের প্রেমের কোন সম্পর্ক ছিল না। বড় ভাইয়ের বন্ধু হিসেবে তাকে চিনতাম। সে আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বরের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়া নববধূ আদালতে জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন। এ ছাড়া তাকে বরের গাড়ি থেকে তুলে নেয়ার পর কোথায় কোথায় রাখা হয়েছে এ ব্যাপারেও বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানা যায়। গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপমের আদালতে নববধূর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। একই আদালতে সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন হালিমা খাতুন। তিনি আদালতকে জানান, তার ছেলের দোকান থেকে জিনিসপত্র নিত মোফাজ্জল। সে হিসেবে মোফাজ্জলকে তিনি আগে দেখেছেন। ওই নববধূকে বউ পরিচয় দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে মোফাজ্জল। হালিমা বেগমের বাড়ি থেকে রোববার রাতে নববধূকে উদ্ধার করে র‌্যাব-১১। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালত নববধূকে তার বাবা আবদুল লতিফের জিম্মায় দিয়েছেন।
অন্যদিকে একই দিন নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাসিস্ট্রেট আশিক ঈমামের আদালতে ঘটনার মূলহোতা গ্রেপ্তারকৃত মোফাজ্জল ও তার দুই সহযোগী রুবেল ও সুজনের রিমান্ড শুনানি হয়। আদালত নববধূকে ছিনিয়ে নেয়ার মূলহোতা মোফাজ্জলকে ৩ দিন এবং তার দুই সহযোগী রুবেল ও সুজনকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে। এদিকে আদালতে হাজির করার আগে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে উদ্ধার হওয়া নববধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ।
ওদিকে মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদকের কাছে নববধূর বাবা আবদুল লতিফ জানান, উপজেলার টেকপাড়া এলাকার জয়নাল, ইসমাইল, সোরহাব ও হাতেম আলী এবং নোয়াগাঁও এলাকার তোফাজ্জল মামলা তুলে নিতে তাকে হুমকি দিচ্ছে। না হলে তার বাড়িঘরে আগুন দেবে। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। তা ছাড়া মামলার অপর আসামি জামাল উদ্দিনের ছেলে আলমগীর, ইসমাইল মেম্বারের ছেলে রাকিব, ইব্রাহিমের ছেলে ইয়াছিন, ফারুকের ছেলে ফাহিম ও রাসেল এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.