মেডিক্যাল ভর্তিচ্ছুদের আলটিমেটাম- ‘যদি হবে প্রশ্ন ফাঁস রোগী হবে লাশ’

পরীক্ষা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে আলটিমেটাম দিয়েছেন মেডিক্যাল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।  গতকাল সারা দেশে চতুর্থদিনের মতো বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ আলটিমেটাম দেন তারা। আজও সারা দেশে বিক্ষোভ করবেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন। ক্রমেই জোরালো হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি। একই দাবি উঠেছে সরকারের মধ্য থেকেই। আর শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরে যাবো না। প্রয়োজনে ঈদের পর অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবো। এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল রংপুর মেডিক্যাল কলেজের তিন চিকিৎসকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৩। এর আগে শুক্রবার পরীক্ষা চলাকালীন সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সহকারী পরিচালকসহ ৩ জন আটক হয়। পরীক্ষা বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপিসহ বিভিন্ন বাম সংগঠন। একইসঙ্গে জোরালো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে কড়া সমালোচনা।
চারদিন চলা আন্দোলনের মতো গতকাল রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও শাহবাগের জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ভর্তিচ্ছুরা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৩ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন। দাবি আদায়ে আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। এরমধ্যে পরীক্ষা বাতিল না হলে ২৭শে সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে। চলবে অন্যান্য কর্মসূচি।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দেন। এ সময় তাদের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল প্রশ্নফাঁস বিরোধী নানা স্লোগান। এরমধ্যে ছিল ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন, শিক্ষা কি এখন পণ্য?, হবে যদি প্রশ্নফাঁস, কষ্ট করবো কেন ১২ মাস, যদি হবে প্রশ্নফাঁস, রোগী হবে লাশ, প্রশ্ন গেলে বাইরে ডাক্তার হবে হাতুড়ে, ইত্যাদি স্লোগান।
গতকাল রাজধানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচএম এরশাদ বলেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা ঠিক হয়নি। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, যদি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয় তবে তা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হোক। একই দাবি জানিয়েছেন ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সাধারণ সম্পাদক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম। অবিলম্বে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল।  গতকাল এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। অন্যদিকে দাবি আদায়ে সরকারকে চারদিন সময় বেঁধে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে পরীক্ষা বাতিল না করলে আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে। এছাড়াও ঈদের দিন শহীদ মিনারে অবস্থানসহ অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভর্তি পরীক্ষা বাতিল, যোগ্য ও নিরপেক্ষ কমিটির মাধ্যমে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণসহ তিন দফা দাবি নিয়ে অহিংস আন্দোলন করছি। সরকারের আমাদের দাবি অবিলম্বে মেনে নেয়া উচিত।
আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাইমিনুল ইসলাম লিয়ন বলেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা হয়েছে সবার কাছে এটি পরিষ্কার। এরপর সরকার প্রহসনের মাধ্যমে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অবিলম্বে এই পরীক্ষা বাতিল না করলে আরও কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা আন্দোলনে আছেন বলে জানিয়েছেন তারা। আজ বুধবার শাহবাগে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। শাহবাগে অবস্থান নিয়ে তারা বলেছেন, প্রয়োজনে ঈদের পর অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। ঢাকায় শহীদ মিনার ও শাহবাগের জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর তারা এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
গতকাল দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চার সদস্যের একটি দল প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাইফুল, লাইলা, নাহিয়ান, নিশান। এর আগে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়ার কথা থাকলেও স্থান পরিবর্তন করে প্রথমে বেলা ১১টায় শহীদ মিনারে ও পরে শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরির সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা। শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচির সঙ্গে কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও অংশ নেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
সমন্বয়ক নিয়ন বলেন, পরীক্ষা বাতিল করা না হলে তাদের আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, আজও সকাল ১০টায় শাহবাগে আমরা অবস্থান করবো। সেখানেই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে ও পুনরায় মেডিক্যাল পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানী ছাড়াও চট্টগ্রাম, বগুড়া, খুলনা, সিলেট, ফরিদপুর ও রংপুরেও বিক্ষোভ করেছেন মেডিক্যাল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুলে অবিলম্বে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা ফল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানান। অন্যথায় রাজপথ অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচির হুমকিও দেন তারা।
একই দাবি জানিয়েছেন, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরে মানবজমিনকে তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সরকার এ বিষয়টি পরিষ্কার করবে।
গত ২১শে সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে দাঁড়ালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন, শিক্ষা কি এখন পণ্য?’, ‘হবে যদি প্রশ্নফাঁস, কষ্ট করবো কেন ১২ মাস’, ‘যদি হবে প্রশ্নফাঁস, রোগী হবে লাশ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়। এ সময় ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। গত শুক্রবার সারা দেশে একযোগে ২৩টি কেন্দ্রে এমবিবিএস ও বিডিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের মধ্যে ১৮ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার সারা দেশে একযোগে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশব্যাপী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে সারা দেশে ২৩টি কেন্দ্রে এই ভর্তি পরীক্ষা  নেয়া হয় ১৮ই সেপ্টেম্বর। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে এই ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল। রোববার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পাসের হার ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ। ১০০ নম্বরের এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৯৪ দশমিক ৭৫।  গত রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঢাকার মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এ ফলাফল প্রকাশ করেন। আসন সংখ্যার হিসেবে শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়ার সুযোগ পাবেন ১১ হাজার ৪৯ জন।
চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক মোট ৮৪ হাজার ৭৮৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে বলেও জানা গেছে। মোট ১০০ নম্বরের এ পরীক্ষায় পদার্থ বিদ্যায় ২০, রসায়নবিদ্যায় ২৫, জীববিদ্যায় ৩০, ইংরেজিতে ১৫ ও সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে নতুন অনুমোদনপ্রাপ্ত মুগদা মেডিক্যাল কলেজের ৫০টি আসনসহ মোট ২৯টি সরকারি মেডিক্যাল,  ১টি ডেন্টাল কলেজ ও ৮টি  ইউনিটের মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৬৯৪টি।  ৬৫টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের আসন সংখ্যা ৬ হাজারের উপর আসন রয়েছে। তবে, এই পরীক্ষা চলাকালেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে অভিযান চালিয়ে প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে র‌্যাব। এর আগে একই ঘটনায় বুধবার রাজধানীর মহাখালী থেকে চিকিৎসকসহ চারজনকে আটক করেছিল র‌্যাব। এদিকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পরীক্ষার আগের রাতে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ এনে কিছু নমুনা তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। পরে পরীক্ষা বাতিল চেয়ে গত শনিবার দেশব্যাপী আন্দোলন করেন তারা। এছাড়া এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট হলেও পরে তা খারিজ হয়ে যায়।
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে জানান, মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের কারণে পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছে মেডিক্যাল ভর্তিচ্ছুরা। পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসের দায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা।
গতকাল নগরীর চকবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের সময় তারা এসব দাবি জানান। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চকবাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে চকবাজার এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় সড়কে আটকা পড়ে যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন লোকজন। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ফাঁসকৃত প্রশ্নে যে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে তাতে প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হয়েছে। এটিকে একটি প্রহসনের পরীক্ষা বলেও দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। ফাঁস হওয়া প্রশ্নে নেয়া পরীক্ষা এবং যে পাতানো ফল প্রকাশ করা হয়েছে দাবি করে শিক্ষার্থীরা তা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান। তারা দাবি করেন, এভাবে টাকার বিনিময়ে ডাক্তার হলে গণহারে রোগী মরবে। কারণ, তারা টাকার জোরে ডাক্তার হচ্ছেন, মেধার জোরে নয়। একঘন্টা সড়ক অবরোধ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে যায়।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে। সেখানে তারা ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবিসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি জানান। তারা বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা প্রমাণ করে পরীক্ষাটি ছিল একটি প্রহসন, যেখানে টাকার বিনিময়ে আগে থেকেই উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি ছিল। পরীক্ষা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা। তারা দাবি করেন, দেশকে মেধাশূন্য করতে একটি চক্র বিভিন্ন প্রচেষ্টায় লিপ্ত। তাদের চক্রান্তে আজ দেশের শিক্ষাখাতে এত অস্থিরতা বলে দাবি করেন তারা। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে নগরীর চকবাজার থানার ওসি মো. আজিজ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিল। এতে কিছুটা যানজট হলেও এখন তা স্বাভাবিক।’

No comments

Powered by Blogger.