গাজায় ফের ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি

ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ভেস্তে যাওয়ার মুখে অবশেষে ৭২ ঘণ্টার আরও একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। গতকাল রোববার রাতে তারা এ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এর আগে ফিলিস্তিনিরা হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, মিসরের মধ্যস্থতায় কায়রোয় চলা আলোচনায় ইসরায়েল গতকালের মধ্যে না ফিরলে তাঁরা এ স্থান ছেড়ে চলে যাবেন। ইসরায়েলও বলেছিল, গাজা থেকে রকেট ছোড়া বন্ধ না হলে তাদের প্রতিনিধিরা আলোচনায় ফিরবেন না। খবর এএফপি, বিবিসি ও আল-জাজিরার। ফিলিস্তিনের একজন কর্মকর্তা গতকাল রাতে বলেন, তাঁরা নতুন করে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। এ বক্তব্যের পর ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও জানান, তাঁরা এ-সংক্রান্ত মিসরের প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। ফিলিস্তিনি ওই কর্মকর্তা বলেন, নতুন করে ওই যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মিসর উভয় পক্ষের কাছ থেকে যুগপৎ সম্মতি পেয়েছে। গতকাল মধ্যরাত থেকেই এটি কার্যকর হবে বলে ফিলিস্তিনের একটি সূত্র নিশ্চিত করে। ওদিকে ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েল মিসরের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।’ এই যুদ্ধবিরতিতে দুই পক্ষের সম্মতি জানানোর আগে ৭২ ঘণ্টার আরও একটি যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয় গত শুক্রবার সকালে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইসরায়েল গাজায় জোর বিমান হামলা শুরু করে। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির যৌথ বিবৃতি: আবারও ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আগে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লঁরা ফ্যাবিয়াস, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড ও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টাইনমেয়ার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আলোচনাই গাজার চলমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।’ বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ: গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শনিবার লন্ডন, প্যারিস ও কেপটাউনে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। ইসরায়েলের তেল আবিবেও একই ধরনের প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আইসিজের তদন্ত চায় ফিলিস্তিনিরা: ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি শনিবার বলেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নিয়ে শিগগিরই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিজে) দ্বারস্থ হয়ে ইসরায়েলকে থামানোর চেষ্টা চালাবেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘আমরা আইসিজেতে যাব। খুব শিগগিরই আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করব। আর এটাই আইসিজের জন্য ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরুতে যথেষ্ট।’

No comments

Powered by Blogger.