তিনটি যুদ্ধ দেখেছে গাজার ছয় বছরের শিশুরাও

হাসপাতালে চিকিৎসকদের এক টেবিলে যন্ত্রণাকাতর তিন শিশু।
গাজার রাফা শহরের আল-নজর হাসপাতালে গতকাল চিকিৎসা
দেওয়া হয় ইসরায়েলি হামলায় আহত শিশুদের। এএফপি
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতি ঘণ্টায় একটি শিশু মারা গেছে। পুরো গাজায় শিশুদের জন্য হামলা থেকে পালানোর ঠাঁই নেই। নেই জেইতুন এলাকার বাসিন্দা চার বছরের শিশু দিমারও। এরই মধ্যে সে দুটি যুদ্ধ দেখেছে। পরিসংখ্যান বলছে, গাজার ছয় বছর বা এর বেশি বয়সী অধিবাসী মাত্রই তিনটি বা এর বেশি যুদ্ধ দেখেছে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানে এত বেশি শিশু হতাহত হওয়ার কারণ হচ্ছে উপত্যকার জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশই শিশু।
আর ইসরায়েল ঘনবসতিপূর্ণ জনপদটিতে হামলাও চালাচ্ছে নির্বিচারে। নিহত একটি শিশুর চাচা আবদেল করিম বাকের বলছিলেন, ‘এটা ঠাণ্ডা মাথার গণহত্যা। ইসরায়েল নাকি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ওদের এসব প্রযুক্তি কী শিশুদের দেখে না?’ গাজায় একের পর এক যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাচ্ছে। আবার শুরু হচ্ছে নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইসরায়েলি হামলা। এর অর্থ, আরও অনেক শিশুর মৃত্যু, আসলে হত্যাদৃশ্য দেখতে হবে বিশ্বকে। টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.