সংসদে সংগীত, কবিতা ও গণবাহিনী by সৈয়দ আবুল মকসুদ

[শেষ পর্ব >> জাসদ ও গণবাহিনীর ঠিকুজি by সৈয়দ আবুল মকসুদ]
প্রথম পর্ব >> দশম জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনটি ছিল খুবই প্রাণবন্ত ও উপভোগ্য—সাংসদদের উপস্থিতি যত কমই হোক। সংসদই হবে সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র—এ কথা শুনে আসছি নেতাদের মুখে। সব কর্মকাণ্ডের অন্তর্গত যে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডও, তা আমাদের ধারণায় ছিল না।এবার সংসদের অধিবেশনে সংগীত পরিবেশিত হয়েছে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর কণ্ঠে। প্রশস্তিমূলক গানটি সহজে শেষ হতো না, কিন্তু মাননীয়া স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী কিঞ্চিৎ বেরসিকের মতো শিল্পীকে থামিয়ে দেন। সমাপনী অধিবেশনে হলো কবিতা আবৃত্তি। রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কাব্যের প্রবীণ কবি আবৃত্তি করেন তাঁর স্বরচিত কবিতা, যা নজরুলের দেশাত্মবোধক কবিতার চেয়ে কিছুমাত্র কম শিল্পগুণসম্পন্ন তা বলার সাধ্য আমার মতো কোনো ক্ষুদ্র সমালোচকের নেই।

তবে সংগীত ও কবিতাচর্চা হলেও নৃত্য ও নাট্যাভিনয় হতে দেখা যায়নি। ধারণা করি, নাটক হতো জাতীয় পার্টির পরিবর্তে বিষবৃক্ষ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) সংসদে থাকলে। দেখা যেত নৃত্যানুষ্ঠানও। অপজিশন বেঞ্চ থেকে পুরুষ হোক নারী হোক ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে কত্থক বা কথাকলি নৃত্যের তালে ছুটে যেতেন কেউ কেউ। সরকারি দলের সাংসদদের কেউ ভরতনাট্যমের ক্লাসিক্যাল ভঙ্গিতে ধেয়ে যেতেন বিপরীত দিকে। (সে দৃশ্য আগে দেখা গেছে)। অমন দৃশ্য দেখার দুর্ভাগ্য থেকে জাতিকে মুক্তি দিয়েছেন দক্ষ ও প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান বেগম রওশন এরশাদ। নাটকের সংলাপ হতো আঞ্চলিক ভাষায়। মানুষ বুঝতে পারত এ দেশের নাগরিক হতে হলে চুপচাপ থাকতে হবে, চুদুরবুদুর চইলত ন।
‘বিরোধী দলের নেতা’ হিসেবে সমাপনী অধিবেশনে বেগম এরশাদেরই সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগে ভাষণ দেওয়ার কথা। কিন্তু বেগম এরশাদ ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে থাকায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান তাঁর প্রক্সি দেন। তাঁর দলীয় সভায় তাঁর কণ্ঠে যে স্পষ্টভাষিতা দেখা যায় সংসদে তেমনটি ছিল না। করুণ ছিল তাঁর কণ্ঠস্বর। তিনি মিনতি করে বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় আমাদের নিয়ে হাসাহাসি হয়। আমাদের নিয়ে হাসবেন না। এতে গণতন্ত্রের প্রতি অবিচার হবে।’ তিনি গণতন্ত্রের মানসসেনা।
এই দুঃখের দেশে যেখানে নদ-নদীর পানি আর নারী-পুরুষ-শিশুর চোখের পানি একাকার, কাউকে নিয়ে কেউ যদি হাসে তা কম কথা নয়।মন্ত্রিসভার বৈঠকে বা সংসদে হাসির রোল পড়লে মন্দ কী? কিন্তু সারা দেশের লোক যদি হাসির খোরাক পায় তা তাদের কম প্রাপ্তি নয়।কান্নাকাটির চেয়ে হাসাহাসি উত্তম।
পিল্লবন্ধু আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নামের ওই বিষবৃক্ষ আপনারাই সৃষ্টি করেছেন। দিনে দিনে এখন তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।’ বিষ নয়, কবির প্রত্যাশা মধু। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আপনি যা খুশি করেন, আমরা সমর্থন দেব। এ সময় নিজের লেখা কবিতা পড়ে শোনান: ‘আমাদের যাত্রা হলো শুরু...গড়তে চাই প্রাণের বাংলাদেশ।’
সংসদে রাজনীতিবিদ পিল্লবন্ধুর চেয়ে কবি এরশাদ প্রাধান্য পেলেন। তাঁর পদ্যপাঠের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাততালি দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সমাপনী ভাষণে তাঁর বিশেষ দূতের উদ্দেশে বলেন, ‘উনার ভাবি (খালেদা জিয়া), যাঁকে উনি বাড়ি-গাড়ি দিয়েছিলেন, সেই ভাবি উনাকেসহ জাতীয় পার্টির সবাইকে জেলে পুরলেন। এত কবিতা লিখলেন, ভাবির জন্য একটা কবিতা লিখে কি তাঁর মন জয় করতে পারেননি।’
যে মন বাড়ি-গাড়ি, ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটে গলে না, তা যে শুকনো কবিতায় গলবে সে সম্ভাবনা কম।
ভাবি সাহেবের বিষবৃক্ষের প্রতি কবির খুবই আক্রোশ। বিষবৃক্ষের উত্থানের দায় তিনি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতাদের কাঁধে। বিষবৃক্ষটি রোপণ করেছিলেন সাবেক এই জেনারেলের ভাই জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর প্রতি সেদিনের তাঁর ভাষণে গভীরতম শ্রদ্ধার প্রকাশ ঘটেছে। আমি সেদিন প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে থাকলে তাঁকে বলতাম, আপনি এই প্রবীণ কবি ও জেনারেলকে জিজ্ঞেস করুন ১৯৮২-এর
মার্চে ক্ষমতা দখল করে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গিয়েছিলেন কি না, নাকি দুই মাসের মাথায় চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে গিয়ে স্যালুট দিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছিলেন। তিনি বিরাশিতে জিয়ার কবরে গেছেন, তিরাশিতেও গেছেন—এখন যেমন বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতারা যান প্রতিদিন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হওয়ায় জেনারেল এরশাদ অনায়াসে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে যেতে পারতেন। অথবা তিনি জিয়ার সমাধিতেও না যেতে পারতেন।কেউ তাঁকে যেতে বলেনি। কোনো প্রয়োজন ছিল না।তিনি গিয়েছিলেন সেনাবাহিনীতে জিয়া–সমর্থকদের শান্ত রাখতে। তা ছাড়া তিনি নিজে ইসলামপন্থী ও মুসলিম জাতীয়তাবাদী। জিয়ার বিষবৃক্ষ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) এবং তাঁর যষ্টিমধু পার্টি (জাপা) নীতি-আদর্শের দিক থেকে অভিন্ন। বাঙালি জাতীয়তাবাদী আওয়ামী লীগের আদর্শের সঙ্গেই তাঁর দলের কোনো মিল নেই।
তিনি তাঁর কবিতায় বলেছেন: ‘আমাদের যাত্রা হলো শুরু...’। (তাঁর কবিতায় রবীন্দ্রকাব্যের প্রভাব লক্ষ করা যায়। পিল্লবন্ধুর অনেক আগে কবিগুরু বলেছেন: ‘আমাদের যাত্রা হলো শুরু এখন, ওগো কর্ণধার, তোমারে করি নমস্কার।/ এখন বাতাস ছুটুক, তুফান উঠুক, ফিরব না গো আর—।) পল্লিবন্ধুর একবার যাত্রা শুরু হয়েছিল বিরাশির ২৪ মার্চ। সেযাত্রার সময়সীমা ছিল ৮ বছর ৯ মাস। এবার কোন যাত্রার কথা বলছেন এবং সেযাত্রা কত দিনের তা ভেবে মুখ শুকিয়ে গেছে দেশের বহু মানুষের। তাঁর কবিতার প্রথম পঙ্ক্তির ভাবসম্প্রসারণ দরকার। তাঁর ‘আমাদের’ শব্দটিও ব্যাখ্যা দাবি করে।
বাংলাদেশের দেশহিতৈষী নেতারা ভূগোল, জ্যোতির্বিজ্ঞান, দর্শনশাস্ত্র, সমাজবিজ্ঞান এমনকি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চেয়ে ইতিহাসই বেশি ভালোবাসেন। এমন দিন নেই যেদিন তাঁরা দেশবাসীকে ইতিহাসে তালিম দেন না। গত অধিবেশনের শেষ দিনে তঁারা ইতিহাসের একটি প্রায়-ভুলে-যাওয়া অধ্যায়কে জনগণকে মনে করিয়ে দিয়েছেন।অধ্যায়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করার কথা আওয়ামী লীগেরই।কিন্তু প্রসঙ্গটি পেড়েছেন জাতীয় পার্টির সাংসদ, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন-পূর্ব টক শোতে যিনি ছিলেন সরকারের কঠোর সমালোচক।
জাসদের গণবাহিনী নিয়ে আলোচনার আগে কাজী ফিরোজ রশীদ পদ্মা সেতুর নির্মাণের চেয়ে সেতুর নামকরণ নিয়ে বেশি ব্যাকুল হয়ে পড়েন। তিনি মনে করেছিলেন নামকরণের প্রস্তাব জানুয়ারির নির্বাচনের পর তাঁর ভাগ্য দ্বিতীয়বার খুলে দেবে। মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়বে না, তা বলা যায় না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সে গুড়ে বালি দিয়েছেন। কিন্তু পদ্মা সেতুর নামকরণের প্রস্তাবক হিসেবে তাঁর নাম রেকর্ডে রইল।
স্বাধীনতা-উত্তর জাসদের গণবাহিনীর প্রসঙ্গ টেনে কাজী সাহেব বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পরে যেন প্রতিবিপ্লব না হয়, সে জন্য বিএলএফ গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বাহিনীর একজন সিরাজুল আলম খান বিএলএফ থেকে বের হয়ে জাসদ তৈরি করেন। আমরা যারা ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগ করতাম, তাদের এই জাসদ আর গণবাহিনী মাঠেঘাটে হত্যা করেছে। সেদিন যদি জাসদ বা গণবাহিনী সৃষ্টি না হতো, তা হলে বঙ্গবন্ধুকে কেউ হত্যার সাহস পেত না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো নীলকণ্ঠ, উনি সব সহ্য করতে পারেন।’
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সময় থেকে বঙ্গসন্তানেরা জানে ভাগ্য পরিবর্তন ও জাগতিক উন্নতির জন্য পথ একটাই, তা হলো চাটুকারিতা। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে তার সমার্থক শব্দ চামচামি। মহাজোট সরকারে মার্ক্স ও মাইজভান্ডার একাকার হয়ে যাওয়ায় সবাই নিষ্পাপ, সব দোষ গিয়ে পড়ছে সিরাজুল আলম খানের ঘাড়ে। সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সিরাজুল আলম খান মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে প্রতিবিপ্লবের পথ সুগম করেছিলেন। সে সময় জাসদের পেছনে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মুসলিম লীগ পরিবার রাতারাতি জাসদ হয়ে গেল। আজকে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ।
প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতাকে সপরিবারে হত্যার পেছনে পরোক্ষভাবেও যারা দায়ী তাদের কেউ ক্ষমা করতে পারেন, তারা ধন্যবাদ পেতে পারে না। জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বলেন, সরকারের শরিক একটি দলকে [জাসদ] আনন্দচিত্তে জবাই করা হচ্ছে। দলটির ঠিকুজি উদ্ধার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের মাইন ফিল্ডে হাঁটলে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত জাসদ যা করেছে, ইতিহাস বলবে, তা সঠিক, নাকি ভুল ছিল। আমাদেরও ২০ হাজার লোক মারা গিয়েছিল।’
আওয়ামী লীগের দাবি, জাসদ তাদের ৩০-৩৫ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল। জাসদ নেতাদের দাবি, সরকারি দল আওয়ামী লীগ তাদের ২০ হাজার নেতা-কর্মী হত্যা করেছে। এতে একজন বালকও মনে করবে দুই দলই গণহত্যার জন্য দায়ী, দুই দলই মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। বিষয়টি সংসদের কার্যবিবরণীতে রেকর্ড হয়ে রইল। আওয়ামী লীগ ও জাসদ পরস্পরের যত লোক হত্যা করেছে তার যোগফল ৫৫ থেকে ৬০ হাজার। এটা তাদেরই হিসাব, অন্যদের নয়। একদিন তারা মানুষকে ‘আনন্দচিত্তে জবাই’ করেছে, এখন ইতিহাসচর্চা করতে গিয়ে দুই দল দুই দলকে জবাই করছে।
খান সাহেব আরও বলেছেন, ‘হাসানুল হক ইনু ও আমি টেলিভিশনে বলেছি, পিতার (বঙ্গবন্ধুর) বিরুদ্ধে সমালোচনা করা ভুল হলে আজ তার কাফফারা দিচ্ছি।’ কাফফারা হলো পাপমোচনের জন্য দেয় জরিমানা। জাতি দেখছে তাঁরা পাপ করে পুরস্কৃত হয়েছেন। ক্ষমতার ভাগ পাওয়ার চেয়ে বড় পুরস্কার পৃথিবীতে নেই।
সংসদে যখন জাসদ নিয়ে এ আলোচনা চলছিল, তখন দলটির সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সেদিন কিছু না বললেও পরদিন তিনি ময়মনসিংহে বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া সেই নেত্রী, যিনি জঙ্গিবাদ সমর্থন করেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করেন ও সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেন। তিনি গণতন্ত্রের ক্লাব থেকে চলে গেছেন। উনি আর গণতন্ত্রের ক্লাব সদস্য নন। খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, কিন্তু গণতন্ত্রের তিনি কেউ নন।’ তিনি রাজনৈতিক সংলাপের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমরা বলব ওরা রাজনৈতিক শয়তানি ছাড়েনি, তওবা করেনি, ভুল স্বীকার করেনি। সুতরাং জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার পক্ষের এই রাজনৈতিক শয়তানদের সঙ্গে কোনো মিটমাট হতে পারে না।’
গণতন্ত্রের ক্লাবঘর বলতে জাসদ নেতা নিশ্চয়ই লুই কানের নকশায় নির্মিত শেরেবাংলা নগরের ধূসর ভবনটিকে বুঝিয়ে থাকবেন। জনসমর্থন নেই বলে বেগম জিয়া সংসদ সদস্য নন। সুতরাং ওই গণতন্ত্রের ক্লাবের সদস্যও তিনি নন। কিন্তু জঙ্গিবাদ তিনি ছাড়েননি, এমন প্রমাণ আমাদের হাতে নেই।
[শেষ পর্ব >> জাসদ ও গণবাহিনীর ঠিকুজি by সৈয়দ আবুল মকসুদ]
সৈয়দ আবুল মকসুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক৷

No comments

Powered by Blogger.