লুইজের ক্ষমা প্রার্থনা

আততায়ী চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া নেইমারের জন্য জিততে চেয়েছিল ব্রাজিল। দলের স্বপ্নসারথিকে শিরোপা উপহার দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন সতীর্থরা। কিন্তু শিরোপা দূরে থাক, সেমিফাইনালের বৈতরণীই পার হতে পারল না স্বাগতিকরা। উল্টো জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হারার লজ্জায় নতমস্তকে মাঠ ছাড়তে হল সেলেকাওদের। ম্যাচ শেষে তাই ক্ষমা চাইলেন ডেভিড লুইজ। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হারের লজ্জার দায়টাও নিজের মাথায় নিলেন থিয়াগো সিলভার অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা এই ডিফেন্ডার। সিলভার অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বের ভার পড়ে লুইজের ওপর। কিন্তু পারলেন না দলকে জয়ের পথ দেখাতে। ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেনি তারা। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে তাই লুইজ-অস্কাররা কান্নায় ভেঙে পড়েন। দুঃখ ভারাক্রান্ত সমর্থকদের উদ্দেশে লুইজ বলেন, ‘দেশের মানুষকে আমি খুশি করতে চেয়েছিলাম।
দুর্ভাগ্যবশত আমরা পারিনি। আমি দুঃখিত, ব্রাজিলের সব মানুষের কাছে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি শুধু তাদের হাসিমুখটা দেখতে চেয়েছিলাম, সবাই জানে সেটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ ১১ মিনিটে ব্রাজিলের ‘হেস্কা’ স্বপ্নের কবর খোঁড়া শুরু। ২৩ থেকে ২৯ মিনিটের মধ্যে ব্রাজিলের জালে আরও চার গোল। ম্যাচ শেষে স্কোর জার্মানি ৭, ব্রাজিল ১! ম্যাচ শুরুর আগে খোদ জার্মান ফুটবলাররাও নিশ্চয় এমন স্কোরলাইন আশা করেনি। নিজেরা চরম ব্যর্থ হলেও প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিতে ভুল করেননি লুইজ। ‘তারাই সেরা ছিল, তারা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিল, তারা ভালো খেলেছে, আমরা ছয় মিনিটে আমাদের জালে চারবার বল ঢুকতে দিয়েছি। আমাদের জন্য এটা খুবই কষ্টের একটা দিন।’ ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে এটা কত বড় লজ্জার দিন তা পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই বোঝা যায়। পাঁচবার বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলা ব্রাজিলকে কখনও বিশ্বকাপে এতবার নিজেদের জাল থেকে বল কুড়িয়ে আনতে হয়নি। আর দেশটির ফুটবল ইতিহাসে সেই ১৯২০ সালে উরুগুয়ের কাছে ৬-০ গোলের হার ছিল সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.