মোদি সরকারের পদক্ষেপে উদ্বেগ সংসদীয় কমিটির

আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে ভারতের মোদি সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়  স্থায়ী কমিটি। ভারতের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে এই প্রকল্পে ১০০ কোটি রুপি বরাদ্দ রেখেছে দেশটি। চুক্তি বাস্তবায়নের আগে প্রকল্পটিতে নতুন করে বরাদ্দ দেয়া টাকায় আসলে কি করতে যাচ্ছে ভারত তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি ভারত সরকারের কাছ থেকে এ বিষয়ে  বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। গতকাল সংসদ সচিবালয়ে কমিটির বৈঠকে এই পরামর্শ দেয়া হয়। কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্যড় মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, তালুকদারড় আব্দুল খালেক, একেএম ফজলুল হক, মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও সেলিনা জাহান লিটা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ভারতের লোকসভায় সদ্য প্রস্তাবিত বাজেটে আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পে ১০০ কোটি রুপি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রস্তাবে গত ৯ই জুলাই প্রস্তাবিত বাজেটে প্রকল্পটির জন্য এই বরাদ্দ রাখা হয়। তিনি জানান, এ আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে আগে থেকেই বাংলাদেশের পরিবেশবিদরা আন্দোলন করে আসছেন। প্রকল্পটিতে নতুন করে এ অর্থ বরাদ্দ আসলে কি সঙ্কেত দেয় তা নিয়ে পরিবেশবিদরা শঙ্কিত। কমিটির সদস্যরাও এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই কমিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে ভারত সরকারের মনোভাব জানতে বলা হয়েছে। রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে আছে। পশ্চিমবঙ্গড় সরকারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই সেই চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। চুক্তি হলে ভাল হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় আন্তঃনদী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল। ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।ড়নদী ড্রেজিংয়ে নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে সভাপতি বলেন, এর আগে আমরা ৩ দিনের সফরে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি। পরিদর্শনকালে মনে হয়েছে যে, গড়াই নদী থেকে পদ্মা ব্রিজ পর্যন্ত যথোপযুক্ত ভাবে ড্রেজিং হয়নি। এখানে কিছু অনিয়ম হয়েছে। পদ্মা থেকে গড়াই নদী পর্যন্ত মাত্র ৩-৪ কিলোমিটার নৌ পথ। এটা ঠিকমতো ড্রেজিং করা হলে নৌপথ রক্ষা পাবে। তাই কমিটির পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে যেন এ এলাকায় সব সময় ড্রেজিং ব্যবস্থা চালু রাখা হয়। কালনী-কুশিয়ারা বর্তমানে হাঁটু পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে বলেও জানান সভাপতি। তিনি এ জন্য ড্রেজিং প্রকল্পকে দায়ী করেন। এছাড়া বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক কর্মকা-কেও দায়ী করেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.