ইসরাইলের নিন্দা জানাতে মোদি সরকারের অস্বীকৃতি!

ভারতের কংগ্রেসসহ প্রায় সব বিরোধী দল গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নৃশংস হামলার নিন্দা করে সংসদে প্রস্তাব আনার দাবি করলেও সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার লোকসভায় জিরো আওয়ারে গাজায় ইসরাইলি হামলায় বিষয়টি প্রথম উত্থাপন করেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি সংসদে মলতুবি প্রস্তাবের জন্য নোটিশ দেন। মেহবুবা মুফতি বলেন, ব্রিকস সম্মেলন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এখন ব্রাজিলে। সেখানেই ভারতের উদ্যোগে গাজায় একতরফা হামলার প্রতিবাদে প্রস্তাব নেয়া হোক। সরকার সংসদেও নিন্দা-প্রস্তাব গ্রহণ করুক। এসময় সিপিএমের মোহাম্মদ সেলিম বলেন, এতদিন পশ্চিমা দেশগুলো ফিলিস্তিনকে যে চোখে দেখে এসেছে, ভারত সরকারও এখন সেভাবেই দেখছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
তবে দক্ষিণপন্থী একটা সাম্প্রদায়িক দল তো এমন আচরণই করবে। বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলের কারণে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত করে দেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। আধা ঘণ্টা পরে ফের অধিবেশন শুরু হলে গাজায় ইসরাইলি হামলার বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, এনসিপি, ইণ্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ এবং অল ইডিয়া মজলিস-এ ইত্তেহাদ-উল মুসলিমিনের সংসদ সদস্যরা। কংগ্রেসের শশী তারুর গাজায় পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের অবস্থানকে মর্মান্তিক ট্রাজেডি আখ্যা দেন। মুসলিম লিগ নেতা ই. আহমেদ বলেন, ইসরাইল যা করছে তা মানবাধিকারের চূড়ান্ত লংঘন। সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু নিন্দা প্রস্তাবের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। একইসঙ্গে সরকারের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এর মধ্যে এমন কোনো পদক্ষেপ করা ঠিক নয় যার বিরূপ ফল হয়। পরে ভেঙ্কাইয়া বলেন, আমরা অবশ্যই সব দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। কিন্তু দুটি দেশের মধ্যে সংঘাতের ব্যাপারে ভারত একটি তৃতীয় দেশ হিসেবে কীভাবে কোনো প্রস্তাব আনতে পারে? দেশের ঘরোয়া রাজনীতির স্বার্থ পূরণে এমনটা করা যায় না।

No comments

Powered by Blogger.