ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সেনা সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া

দিমিত্রি মেদভেদেভ
ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে সেনা আংশিক সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জার্মানির সরকার গতকাল সোমবার এ কথা জানিয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, মেরকেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় পুতিন সেনা সরানোর বিষয়টি জানিয়েছেন। পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তজুড়ে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। এদিকে রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ গতকাল ক্রিমিয়া সফর করেছেন। ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ক্রিমিয়াকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তির পর প্রথম সরকারের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা ওই এলাকায় গেলেন। ২১ মার্চ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রিমিয়াকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তির আইনে সই করেন। এরপর এই প্রথম মেদভেদেভের ক্রিমিয়া সফরে তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা বিমানে করে গতকাল ক্রিমিয়ার প্রধান শহর সিম্ফারপোলে যান। পরে রুশ প্রধানমন্ত্রী মেদভেদেভ টুইটারে এক বার্তায় জানান, ‘আমি এখন সিম্ফপারপোলে। এখানে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের উন্নয়নের বিষয়ে রুশ সরকার বৈঠকে বসছে।’ মেদভেদেভের এই সফর ইউক্রেন ও পশ্চিমা সরকারগুলোকে ক্ষুব্ধ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিয়েভ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ, রাশিয়া বেআইনিভাবে ক্রিমিয়াকে নিজ দেশের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ফেডারেল ব্যবস্থা চালু করতে রাশিয়ার আহ্বানের তীব্র সমালোচনা করেছে ইউক্রেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া কেন নিজ ফেডারালিজম প্রতিষ্ঠা করে না...কেন রুশ ফেডারেশনের জাতীয় অঞ্চলগুলোকে আরও ক্ষমতা দেয় না...কেন রুশ ছাড়া অন্য ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। অথচ ইউক্রেনসহ অন্যান্য ভাষায় কোটি মানুষ কথা বলে। বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.