কোরিয়ায় সমুদ্রসীমায় গোলাগুলি

দুই কোরিয়ার বিতর্কিত পানিসীমায় সোমবার শত শত রাউন্ড কামানের গোলা বিনিময় করেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। সিউল বলেছে, উত্তর কোরিয়ার সামরিক মহড়ার গোলা দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্রসীমায় পড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের (জেসিএস) মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, উত্তর কোরিয়া আমাদের সমুদ্রসীমায় গোলাবর্ষণ করলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা গোলাবর্ষণ করে। কোনো পক্ষ নির্দিষ্ট টার্গেট লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে সেখানে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। উত্তর কোরিয়া স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে সামরিক মহড়া শুরু করে। দক্ষিণ কোরিয়া এর ৩০ মিনিটের মধ্যেই পাল্টা মহড়া শুরু করে। জেসিএস মুখপাত্র বলেন, এর ফলে উভয়পক্ষ বিরোধপূর্ণ ওই সমুদ্রসীমায় গোলা বর্ষণ করে। ঘটনার ভয়াবহতা থেকে রেহাই পেতে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী দ্বীপগুলোর অধিবাসীরা আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে বাধ্য হয়। উত্তর কোরিয়া চতুর্থ পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর হুমকি দেয়ার একদিন পর গোলা বিনিময়ের এ ঘটনা ঘটলো।
উত্তর কোরিয়া ওই সীমান্তবর্তী এলাকায় এক মহড়ায় তাজা গুলি ব্যবহার করার পর দুপক্ষের মধ্যে এ গোলা বিনিময় হয়। তিন ঘণ্টাব্যাপী ওই মহড়া থেকে কিছু গোলা দক্ষিণ কোরিয়ার পানিসীমায় গিয়ে পড়লে দেশটি তার জবাব দেয়। তবে কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের সামরিক বা বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে গোলা ছোড়েনি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মহড়ায় উত্তর কোরিয়া প্রায় ৫০০ গোলা নিক্ষেপ করেছে। উত্তরে দক্ষিণ কোরিয়া ৩০০ গোলা নিক্ষেপ করেছে। ভয় নেই, যুদ্ধ বাঁধাবে না বিশ্লেষকরা বলছেন, আকষ্মিক এ হামলায় ভয় নেই, এ গোলা বিনিময় দুদেশের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধাবে না। সিউলের নর্থ কোরিয়া স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়ং মু-জিন বলেছেন, উত্তর কোরিয়া আসলে তার পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে বহুপক্ষীয় আলোচনা আবার শুরু করতে চায়। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা এ ব্যাপারে আগ্রহ না দেখানোর কারণে এ ধরনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে পিয়ংইয়ং।

No comments

Powered by Blogger.