বিশেষ সাক্ষাত্কার : অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ- ‘লিটল পিপল’রাই রাষ্ট্রের জন্য বড় হুমকি by এ কে এম জাকারিয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের জন্ম বরিশালে, ১৯৫৮ সালে। ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল ও ঢাকা কলেজ হয়ে তিনি উচ্চশিক্ষা নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে অটোয়ার কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যানবেরার অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বৈরুতের সাজেস বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন ইস্যুতে লেখা ইমতিয়াজ আহমেদের বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে অজস্র লেখা ও গবেষণাপত্র।
প্রথম আলো  বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। কিন্তু আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি বললে দেখা যায়, আরও অনেক দেশ, শক্তি ও বিষয় এর সঙ্গে জড়িত। আঞ্চলিক নিরাপত্তার বর্তমান ধারণাটি আসলে কী?
ইমতিয়াজ আহমেদ  গত শতাব্দীর নিরাপত্তার ধারণা আর বর্তমান নিরাপত্তার ধারণার মধ্যে অনেক পার্থক্য তৈরি হয়ে গেছে। আমরা যখন একটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার কথা বলি, তখন দেখা যাচ্ছে যে নিরাপত্তার ঝুঁকি সেই রাষ্ট্রটির বাইরে তৈরি হচ্ছে এবং সেটা অনেক ক্ষেত্রে অন্য কোনো রাষ্ট্র নয়, রাষ্ট্রের বাইরের ঝুঁকি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জর্জ অরওয়েল ১৯৮৪ উপন্যাসে লিখেছিলেন, ‘বিগ ব্রাদার ইজ ওয়াচিং ইউ’। আমরা দেখলাম যে রাষ্ট্র তখন অস্ত্র জোগাড় ও বানাতে শুরু করল নিজেদের নিরাপত্তার নামে। ২০০৯ সালে এসে জাপানি সাহিত্যিক মুরকামি ওয়ান কিউ ৮৪ উপন্যাসে লিখলেন, ‘লিটল পিপল ওয়াচিং ইউ’। আর নাইন-ইলেভেনের ঘটনা নিরাপত্তার সব ধারণাকে পাল্টে দিয়েছে। কয়েকজন জঙ্গি টুইন টাওয়ারে যে হামলা চালিয়েছে, সে ধরনের কিছু ঠেকাতে নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ট্রিলিয়ন ডলারের বাজেট করতে হচ্ছে। এই ‘লিটল পিপল’রা যেহেতু বিশ্বের সবখানেই ছড়িয়ে আছে, তাই রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে নিরাপত্তার ধারণার বদলে এক ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি যে শুধু সেই অঞ্চলের কয়েকটি দেশের বিষয়, তা নয়।
প্রথম আলো  ‘লিটল পিপল’ বলতে আপনি কী বোঝাতে চাইছেন?
ইমতিয়াজ আহমেদ  এই যে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বিভিন্ন গোষ্ঠী গড়ে উঠছে, এটা জঙ্গিদের গোষ্ঠী হতে পারে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী হতে পারে, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হতে পারে। এগুলো কিন্তু রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারছে। সবচেয়ে বড় কথা, এই যে লিটল পিপলরা দেশে দেশে ছড়িয়ে আছে, এখন দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ হচ্ছে। একটি রাষ্ট্র যেমন অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে স্বার্থের সম্পর্ক রাখছে, নিজেরা নিজেরা জোট করছে, তেমনি লিটল পিপলরাও একই কাজ করছে।
প্রথম আলো  এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোর উদ্ভবের কারণ কী বলে মনে করেন?
ইমতিয়াজ আহমেদ  দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্র সব নাগরিকের স্বার্থ বা চাহিদা পূরণ করতে পারছে না, ফলে প্রতিবাদী গোষ্ঠীর জন্ম হচ্ছে। রাষ্ট্রের কোনো আচরণ বা অবস্থান অনেককে ক্ষুব্ধ করে তুলছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখাতেই এর উদ্ভব ঘটছে। দেশে দেশে এই যে বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্ম হচ্ছে, এগুলো সেসব দেশ ছাড়িয়ে অন্য দেশেও প্রভাব ফেলছে এবং অন্য গ্রুপগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনো কোনো দেশও অন্য দেশের বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত না করে এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করছে বা কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা ও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
প্রথম আলো  এই বাস্তবতায় দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা-হুমকির বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন?
ইমতিয়াজ আহমেদ  এ অঞ্চলে ভারত এক বড় শক্তি। আবার চীন ও যুক্তরাষ্ট্রেরও স্বার্থ রয়েছে এই অঞ্চলকে ঘিরে। এ নিয়ে এক ধরনের শক্তির লড়াই রয়েছে ঠিকই, কিন্তু লিটল পিপলরাই এখন বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এক দেশের লিটল পিপলদের সঙ্গে অন্য দেশের লিটল পিপলদের যোগাযোগ হচ্ছে, সহযোগিতা হচ্ছে। যেমন, ভারতের জন্য পাকিস্তান বা অন্য রাষ্ট্র যে ধরনের হুমকি, তার চেয়ে বড় হুমকি লিটল পিপলরা। এই লিটল পিপলদের ব্যবহারও করা হয় ভারতের বিরুদ্ধে। ভারত এর শিকারও হচ্ছে। সেনাবাহিনী দিয়ে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার যে প্রচলিত পদ্ধতি ছিল, তা দিয়ে এটা মোকাবিলা করা যাচ্ছে না। ফলে এক ধরনের ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে এখন বিষয়টিকে বিবেচনা করতে হচ্ছে।
প্রথম আলো  সে ক্ষেত্রে প্রচলিত যুদ্ধবিগ্রহের আশঙ্কা কি কমে আসছে?
ইমতিয়াজ আহমেদ  বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে চীনের বড় ধরনের বাণিজ্য রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কারখানা গড়ে উঠছে চীনে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারও। পাকিস্তান, মিয়ানমার—এই দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বাণিজ্য সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি অনেকটা জালের মতো ছড়িয়ে গেছে। ফলে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়লে সব পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা বাণিজ্য সম্পর্ক নিরাপত্তার ধারণার ক্ষেত্রেও মৌলিক পরিবর্তন এনেছে। যেকোনো যুদ্ধ সব পক্ষকেই বিপদে ফেলবে।
প্রথম আলো  বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক স্বার্থ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলে আপনার ভাষায় ‘লিটল পিপল’ যারা, তাদের হুমকি রাষ্ট্রগুলো মিলে মোকাবিলা করতে পারছে না কেন?
ইমতিয়াজ আহমেদ  রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে এখন যোগাযোগ বাড়ছে। এসব গোষ্ঠীর তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। সন্ত্রাসী বা জঙ্গি তৎপরতা যা-ই হোক, এসব ব্যাপারে এক দেশ অন্য দেশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে এখন ভারতের গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হয়। অপরাধী বিনিময় ও প্রত্যর্পণের বিষয়গুলো হচ্ছে।
প্রথম আলো  কিন্তু এর পরও তো দেখা যাচ্ছে বা অভিযোগ উঠছে যে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ সরকারবিরোধী শক্তি, সন্ত্রাসী বা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে অন্য দেশ ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সহায়তা করছে।
ইমতিয়াজ আহমেদ  আসলে নিরাপত্তা ধারণায় পরিবর্তন এলেও এত দিন ধরে দেশগুলোর যে প্রচলিত নিরাপত্তা বা গোয়েন্দাকাঠামো ছিল, সেগুলো পুরো পরিবর্তন হয়েছে—এমন বলা যাবে না। একটি রাষ্ট্রে যে কাঠামো, তার মধ্যে নানা চিন্তাভাবনার লোক সক্রিয় থাকে। ফলে তারা অনেক সময় এমন কিছু করে, যেটা সব সময় রাষ্ট্রের নীতি বা আদর্শের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হবে—এমন না-ও হতে পারে। মুম্বাইয়ে হামলার সঙ্গে পাকিস্তান জড়িত হিসেবে অভিযোগ উঠেছে। এখন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কোনো অংশ বা পক্ষ এতে জড়িত থাকতে পারে বা এতে সহায়তা করতে পারে; কিন্তু রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান সিদ্ধান্ত নিয়ে এমন কাজ করেছে, তা হয়তো নয়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনেক সময় এমনভাবে কাজ করে যে তা টের পাওয়া কঠিন। এগুলো থামানোর উপায় আমরা এখনো বের করতে পারিনি।
প্রথম আলো  বাংলাদেশে ১০ ট্রাক অস্ত্রের বিষয়টি কি সে রকম কিছু?
ইমতিয়াজ আহমেদ  সম্ভবত সে রকম কিছুই। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের অস্ত্র জোগান দেওয়ার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কেউ কেউ জড়িয়ে পড়েছিলেন। এর সঙ্গে অর্থিক লাভ ও সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার বিষয়টিও জড়িত থাকতে পারে। ভারত অতীতে বাংলাদেশের শান্তি বাহিনীকে সহায়তা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। টিট ফর ট্যাট বলে যে বিষয়টি রয়েছে, এমন চিন্তা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার কারও মাথায় ঢুকে থাকতে পারে।
প্রথম আলো  ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারের সঙ্গে বাংলাদেশের শীর্ষ দুটি গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বাইরে শুধু নিজেদের ইচ্ছায় কি তাঁদের পক্ষে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে ফেলা সম্ভব?
ইমতিয়াজ আহমেদ  খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমি এর সঙ্গে বিশ্বজিৎ হত্যার বিষয়টিকে একটু মেলাতে চাই। শীর্ষ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্তের কারণে ছাত্রলীগের ছেলেরা বিশ্বজিৎকে হত্যা করেছে—এমনটি বলা কঠিন। কিন্তু হরতালকারীদের যে শিক্ষা দিতে হবে, এমন একটি বিষয় নেতৃত্ব পর্যায় থেকে বলা হয়েছে বলে আলোচিত হয়েছে। ফলে ছাত্রলীগের ছেলেরা হয়তো এ ধরনের একটি কাজ করে ফেলেছে। এ ক্ষেত্রে যা হতে পারে তা হচ্ছে, উলফাকে সহায়তা বা সমর্থন করার বিষয়টি হয়তো তৎকালীন সরকারের কাঠামোর মধ্যে ছিল। ফলে সেটা বিবেচনায় নিয়ে এই কর্মকর্তারা কাজটি করে থাকতে পারেন। আর আমরা যদি বলি যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে কাজটি হয়েছে, তবে তো তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।
প্রথম আলো  ভারতের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। বাংলাদেশের কাছে ভারতের অন্যতম চাওয়া ছিল নিরাপত্তার ঝুঁকি কমানো। মানে, বাংলাদেশের ভূখণ্ড যাতে ভারতবিরোধী কাজে ব্যবহার না হয়। বাংলাদেশ সেটা নিশ্চিত করেছে। ভারতে সামনে নির্বাচন আসছে, সেখানে সরকারের পরিবর্তন কি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটতে পারে?
ইমতিয়াজ আহমেদ  ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বর্তমানে খুবই ভালো। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের মাধ্যমে ভারত তার নিরাপত্তার বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত করতে পেরেছে। তবে আমি মনে করি যে সরকার পরিবর্তন হলেও দুই দেশের সম্পর্কের খুব পরিবর্তন হবে না। বিশ্বায়নের কারণে বাণিজ্যিক সম্পর্ক, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক আদান-প্রদান এমন জায়গায় চলে গেছে যে কোনো কিছুই রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে হয়তো রাজনৈতিক বক্তব্য থাকবে, কিন্তু কোনো ধরনের বৈরী রাজনৈতিক সম্পর্কে ফিরে
যাওয়া কঠিন।
প্রথম আলো  মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টি বাংলাদেশের কীভাবে দেখা উচিত? রোহিঙ্গা সমস্যা কি এ ক্ষেত্রে বড় বাধা?
ইমতিয়াজ আহমেদ  যেকোনো দেশের সঙ্গে বহুমাত্রিক সম্পর্ক তৈরি করতে হয়। এক জায়গায় সমস্যা থাকলে অন্য জায়গায় তা মিটমাট করতে হয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে হয়তো আমাদের সঙ্গে সমস্যা রয়েছে, কিন্তু অন্য কোনো ক্ষেত্রে সম্পর্ক করা যাবে না, বিষয়টি তা নয়। মিয়ানমারের সঙ্গে নানা ক্ষেত্রে আমাদের আদান-প্রদান বাড়লে তখন ওই সমস্যা সমাধানের পরিস্থিতিও তৈরি হবে।
আমি বলব যে এ ক্ষেত্রে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতা রয়েছে। আমি তো মনে করি, মিয়ানমারের কিছু শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েও তো আমরা নিয়ে আসতে পারি। সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ ধরনের নানা কিছুই ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রথম আলো  আপনাকে ধন্যবাদ।
ইমতিয়াজ আহমেদ  ধন্যবাদ।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ কে এম জাকারিয়া

No comments

Powered by Blogger.