গণভোট মানবে না যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ

ক্রিমিয়ার গণভোটের প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণার পর
রোববার রাতে রাজধানী সিম্ফারপোলের লেনিন
স্কয়ারে রুশপন্থীরা উল্লাস করেন। ছবি: রয়টার্স
রাশিয়ায় যোগ দেওয়ার প্রশ্নে ক্রিমিয়ায় গত রোববার অনুষ্ঠিত গণভোটকে কখনোই স্বীকৃতি দেবে না যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রোববার মস্কোর বিরুদ্ধে আরও অবরোধসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র। ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বৈঠক করে রাশিয়ার ও ইউক্রেনের রুশপন্থী বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তাঁদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রিমিয়ার জনগণ গণভোটে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দেন। এ ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টেলিফোনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ওবামা বলেন, ক্রিমিয়ার গণভোট কেবল ইউক্রেনের সংবিধানই লঙ্ঘন করেনি; তা অনুষ্ঠিত হয়েছে ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট ওবামা জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ক্রিমিয়ার গণভোটকে কখনোই স্বীকৃতি দেবে না।’ ফোনালাপে ওবামা রুশ প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘রাশিয়াকে এই পদক্ষেপের জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে। ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
জবাবে পুতিন বলেন, গণভোট ‘আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী’ সম্পূর্ণভাবে বৈধ। যেসব রুশ ও ইউক্রেনের নাগরিক ইউক্রেনের স্বার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের ভিসা বাতিল করে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট ওবামা একটি নির্বাহী আদেশ জারির ফলে রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের পথ প্রশস্ত করেছে। এদিকে ইউরোপের ২৮টি দেশের জোট ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গতকাল বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের রুশপন্থী ২১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও তাঁদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইইউ ইতিমধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক চুক্তি ও ভিসায় কড়াকড়ি শিথিল করার ব্যাপারে আলোচনা স্থগিত করেছে। এসব বিষয়ে এখন আরও কঠোর হতে পারে তারা। যেসব ব্যক্তির সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও ভিসা বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের নামের তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে ক্রিমিয়ায় গণভোট অনুষ্ঠানে যাঁরা ভুমিকা রেখেছেন, তাঁরাই এ তালিকায় রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন এ পদক্ষেপ নেওয়ার পরও যদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পিছু না হটে, তাহলে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে ইইউ। এএফপি ও বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.