ভাড়াটিয়া ঘাতকরাই খুন করে সোহানকে by ওয়েছ খছরু

ভাড়াটিয়া খুনিরাই কুয়ারপাড়ের ভিআইপি রুটে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে কলেজ ছাত্র সোহান ইসলামকে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে একই এলাকার পিচ্চি শাকিল, টাইগার জামাল, আমির,
টিপু ও গুলজারের ছোটভাই রিপন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে খুন করে। আর এই খুনের খবর জানতো লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মনির। আগে থেকেই তার হাতে গুলজার ও কামাল পক্ষের লোকজন মোটা অঙ্কের টাকা তুলে দিয়েছিল এবং সুর চিৎকার শুনলেও পুলিশ যেন নীরব থাকে সে ব্যাপারে বলেও দেয়া হয়েছিল। গতকাল নিহত কলেজ ছাত্র সোহান ইসলামের পরিবারের একাধিক সদস্য এসব কথা বলছিলেন আর বিলাপ করছিলেন। এ ঘটনার পর নির্বাক হয়ে গেছে খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের বোন নুশরাত জাহান স্বর্ণা। সোহানের বোন স্বর্ণা সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের অগ্রগামী সরকারি কিন্ডার স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। শনিবার বিকাল ৩টায় স্বর্ণাকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফিরছিল সোহান। কুয়ারপাড় পয়েন্টে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পিচ্ছি শাকিল, টিপু, আমির, টাইগার জামাল ও রিপন সোহানের মোটরসাইকেল থামায়। এ সময় তারা সোহানের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে মারধর করতে থাকে। এ দৃশ্য দেখে শিশু স্বর্ণা পার্শ্ববর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে এক পুলিশ সদস্যের পায়ে ধরে ভাইকে বাঁচানোর আকুতি জানায়। এ সময় এক পুলিশ সদস্য তাকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন। এই ফাঁকে খুনিরা নির্বিঘ্নে এলোপাতাড়ি কোপায় সোহানের শরীর। তার উরু ও পায়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করা হয়। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় সোহানের। ঘটনার নেপথ্যে কাহিনীও তুচ্ছ। শুক্রবার বিকালে সোহানের সঙ্গে একই এলাকার কামালের কথাকাটাকাটি পরে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় কামাল আহত হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর কামাল ও তার পক্ষের লোকজন বলে বেড়াতো তারা বদলা নেবে। নিহতের পরিবার জানান, তারা সোহানকে হত্যা করে এর বদলা নিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.