বুঝি না, আইসিসির কাজ কী?

ক্রিকেটে বৈষম্যের আশঙ্কায় শাহবাগে প্রতিবাদ
মানুষের শান্তির জন্য যত দরকার কঠোর হব
প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার অভয়নগরের মালোপাড়া পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, হত্যা-খুনখারাবি সরকার বরদাশত করবে না। মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য যত কঠোর হওয়া প্রয়োজন, আমরা হব। এ ব্যাপারে মন্তব্য করে মো. আল-আমিন লিখেছেন: সরকারকে বলতে চাই, অপরাধীদের কঠোর হাতে দমন করুন, কিন্তু মানবাধিকার রক্ষা করে চলুন, বিচার বিভাগ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত রাখুন। ভালো ভালো কাজ করে দেশের মানুষের চিত্ত জয়ের চেষ্টা করুন। বিএনপিকে বলব, যুদ্ধাপরাধী-স্বাধীনতাবিরোধীদের বর্জন করুন। অহিংস আন্দোলন করুন। আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির চেষ্টা করুন। আমরা সামনের দিনগুলোয় শান্তি চাই।
আবদুল মজিদ কাজী: অবশ্যই কঠোর হবেন। তবে নিজ দলের সন্ত্রাসীদের রেহাই দিলে সন্ত্রাস বন্ধ হবে না। দলের যারা সন্ত্রাসমূলক অপরাধে লিপ্ত, তারা হিতাকাঙ্ক্ষী নয়, বরং পরম শত্রু। তাই অন্যদের চেয়ে এদের কঠোর শাস্তি দেবেন। তা ছাড়া স্বাধীনতাবিরোধী দলকে (জামায়াত-শিবির) শক্ত হাতে দমন করতে হবে। তারা শুধু ১৯৭১ সালে নয়, আজও দেশ ও জনগণের চরম শত্রু। তাদের নৃশংসতা অনুসারে তাদের শাস্তি কম হচ্ছে। তারা যেভাবে বদ্ধভূমিতে লাখ লাখ লোককে মেরে লাশ ফেলে রেখেছিল, দেশবাসী আজও তাদের সঙ্গে সেই আচরণ করেনি, তারা সৌভাগ্যবান। মুকাদ্দিম সারোয়ার: আচ্ছা, আমরা এই সহিংসতার জন্য নির্দিষ্ট একটি দলকে দোষারোপ করে যাচ্ছি, তদন্ত তো হয়নি। কিসের ভিত্তিতে মেনে নেব? যে-ই করুক না কেন, কঠোর সাজা দিতে হবে। কিন্তু আদৌ কি সত্যিকারের আসামিরা ধরা পড়বে?
অতি দ্রুত সংলাপ ও নির্বাচন চান খালেদা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অবিলম্বে সংলাপে বসতে আবারও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে বিপুল লিখেছেন: আমি ভোট দিতে পারিনি আপনাদের পেট্রলবোমাবাজদের জন্য। তার পরও এই সরকারকে সমর্থন করি সাহসী ভূমিকায় দেশ রক্ষা করার জন্য। শাহিদুল ইসলাম: বড় দুই দল মিলে যদি নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে, সেটাই হবে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় পাওয়া। জাহিদ: আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। ওসমান শেখ: শুধু নির্বাচন চাইলেই হবে না অংশগ্রহণের নিশ্চয়তাও দিতে হবে।
টেস্টই খেলতে পারবে না বাংলাদেশ!
‘তিন জমিদার’ ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব ক্রিকেট শাসনের প্রস্তাব দিয়েছে, তা যদি আগামী আইসিসি বৈঠকে পাস হয়, তবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে আর টেস্ট খেলতে পারবে না। এই প্রস্তাব নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এর বিরোধিতা করে বাংলাদেশে কয়েকটি স্থানে হাজারো তরুণ-তরুণী মানববন্ধন করছেন। প্রস্তাবের সমালোচনা করে পাঠক রাজু লিখেছেন, আমি অবাক হচ্ছি!! ফুটবলে কী রকম চিন্তা আর ক্রিকেটে কী রকম!! যেখানে ফুটবলকে জনপ্রিয় করার জন্য ফিফা কত চেষ্টা করছে, সেখানে আইসিসি উল্টো। আপনারা হয়তো দেখেছেন, কিছুদিন আগে কনফেডারেশনস কাপে তাহিতি ও স্পেনের মধ্যকার খেলা। র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর আর ১১৮ নম্বর দলের মধ্যে খেলা। এগুলো সম্ভব হয়েছে শুধু ফিফার পেশাদারি মনোভাবের কারণে, র‌্যাঙ্কিংয়ের জোরে নয়। আর আইসিসি পেশাদারি মনোভাব থেকে সরে উল্টো জমিদারি মনোভাব নিয়ে আসে। মো. ইকবাল হোসেইন: বুঝি না, আইসিসির কাজ কী? এরা কি ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করতে চায়, নাকি সেই আঁতুড়ঘরে ফিরিয়ে নিতে চায়? যদি এ আইন কার্যকর হয় তাহলে আমরা মোড়লদের খেলা দেখব না। এ দেশের মিডিয়াকে অনুরোধ, ওই মোড়লদের কোনো খবর যেন প্রচার না করে।
সোহেল: বাকি সাত টেস্টখেলুড়ে দেশ এককাট্টা থাকলে ভোটাভুটিতে হালে পানি পাবে না প্রস্তাব। সাত দেশ এককাট্টা না থাকার কোনো কারণ তো নেই। সুতরাং, এই প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। জে আই সোহেল: আজব সব চিন্তাভাবনা! বাকি সাতটি দেশের এই প্রস্তাবে ভেটো দেওয়া উচিত। তা না পারলে তাদের টেস্ট ক্রিকেট থেকে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যাওয়া উচিত। তাহলে দেখা যাক আইসিসির বাহাদুরি মানে তিন জমিদার কার সঙ্গে গিয়ে বাহাদুরি করে!! এম এ মান্নান: এ তিনটি দেশকে আলাদা করে দিয়ে বাকি দেশগুলো নিয়ে আলাদা একটা জোট করা দরকার। এই দেশগুলোকে বয়কট করে বাকিরা এএফটিপি অনুসরণ করে চলবে। নতুন এই জোটের অফিস হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আর ওই তিন দেশের জোটের নাম হবে ‘থ্রি জোকারস’। কারণ তিন দেশ মিলে তো আইসিসি হবে না, সব দেশ যেখানে থাকবে, সেটাই হবে আইসিসি। কাজী মহিবুল ইসলাম: যে দেশের মানুষ তিন দিন লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটে খেলা দেখার জন্য, সেই দেশ ক্রিকেটই খেলতে পারবে না!!! এবার কিন্তু আর রাস্তায় লোকের অভাব হবে না...ভাইসব, সবাই রেডি হন আইসিসির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে হবে, এটা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম।
খরচই কেবল বাড়ে, সেতু আর হয় না
২০০৭ সালে প্রকল্প অনুমোদনের পর থেকে সময় পেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয়। কিন্তু এর কাজ এগোয় না। এ ব্যাপারে পাঠক এস এম রুহুল কবির হাওলাদার লিখেছেন: একটা ইট পাঁচ বছর ধরে গাড়ল না আর করবে সেতু। যে অবস্থা, ১০ বছরের আগে সম্ভব নয়। আবদুল্লাহ আল মামুন: দিন শেষ হয়ে আসে, তবু রাস্তা আর শেষ হয় না। হেলাল: সরকার বর্তমান যে অবস্থায় আছে, তা যদি ধরে রাখতে পারে তা হলে ইনশা আল্লাহ অবশ্যই পদ্মা সেতু হবে। আমরা নতুন সরকারকে একেবারেই দুর্নীতিমুক্ত দেখতে চাই। আশা করি, আওয়ামী লীগ তার হারানো রাজনৈতিক গৌরব ফিরে পাবে। জাহিদুল আমিন: আফসোস, কোনো কিছুই তারা শেষ করতে পারে না। এখানে তারা মার খেয়ে যায়। যদি উন্নয়নের ধারা বজায় রাখত, সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ববর্তী সরকারের কাজ অব্যাহত রাখত, তবে এ ধরনের কিছু কাজের ক্রেডিট বিএনপিও নিতে পারত। কিন্তু আওয়ামী লীগের ফেলে আসা কোনো কাজই বিএনপি শেষ করেনি, আর তাই নামখানাও নেই কোনো উন্নয়নের খাতায়। জনগণ দেখে না কে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করল, জনগণ দেখে কে কাজ শেষ করে উদ্বোধন করল। এটাই নিয়ম।

No comments

Powered by Blogger.